কর্মী ঃ
যিনি নির্দিষ্ট লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে নির্দিষ্ট কর্মসূচী ও কর্মপদ্ধতির আলোকে কাজ করেন তিনিই কর্মী।
* দায়িত্বশীল ঃ
# যিনি নির্দিষ্ট লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে, নির্দিষ্ট কর্মসূচী ও কর্মপদ্ধতির আলোকে ময়দানের চাহিদা অনুযায়ী অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করেন এবং সুনির্দিষ্টভাবে কর্মী পরিচালনা করেন তাকে দায়িত্বশীল বলে।
১. অর্পিত দায়িত্ব।
২.Definite Target.
৩.কর্মসূচী ও কর্মপদ্ধতি।
৪. ময়দানের চাহিদা।
কর্মীর বৈশিষ্ট্য ঃ
১. মজবুত ঈমান
২. খোদাভীতি
৩. আদর্শের সুস্পষ্টতা জ্ঞান
৪. আনত্দরিকতা
৫. নিষ্ঠা
৬. কর্মস্পৃহা
৭. চারিত্রিক মাধুর্য
৮. কর্মসূচি ও কর্মপদ্ধতি যথার্থ অনুধাবন
একজন কর্মীর নিয়মিত কাজ ঃ
১. নিয়মিত কুরআন হাদীস বুঝে পড়া।
২. নিয়মিত ইসলামী সাহিত্য পড়া চেষ্টা চালানো।
৩. ইসলামের প্রাথমিক দাবীসমূহ মেনে চলার চেষ্টা করা।
৪. বায়তুল মালে নিয়মিত এয়ানত দান।
৫. নিয়মিত রিপোর্ট রাখা ও দেখানো।
৬. কর্মী সভা, সাধারন সভা প্রভৃতি অনুষ্ঠানে যোগদান।
৭. সংগঠন কতৃক অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করা।
৮. অপরের কাছে সংগঠনের দাওয়াত পৌছে দেয়ার চেষ্টা করা।
# দায়িত্বশীলের বৈশিষ্ট্য ঃ
১. জ্ঞানের ক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন।
২. আদর্শের মূর্ত প্রতীক।
৩. সর্বোত্তম চরিত্রের অধিকারী হওয়া।
৪. ধৈর্য্যশীল হওয়া।
৫. সুন্দর ও স্পষ্ট উচ্চারণে কথা বলা।
৬. সব সময় উত্তম কথা বলা।
৭. সব সময় হাসিখুশি থাকা।
৮. মুখ অন্য দিকে রেখে কথা না বলা।
৯. গোঁজামিলের আশ্রয় না নেয়া।
১০. সকলের জন্য আনত্দরিকভাবে আল্লাহর দরবারে দোয়া করা।
১১. সর্বাবস্থায় আল্লাহর উপর পূর্ণ আস্থা রাখা।
১২. পরিবেশ-পরিস্থিতি বুঝে কথা বলা।
রফিকুন-বিনয়ী বন্ধু
সাদিকুন-সত্যবাদী বন্ধু।
# কর্মী গঠনে দায়িত্বশীলের কাজ ঃ
প্রাথমিক কাজ এমন আমল করা যাতে সিনিয়র ও আপনি বলতে বাধ্য হয়।
ধারাবাহিক কাজ
১. Target নির্ধারণ (Select করা)
২. সমপ্রীতি স্থাপন
৩. ক্রমধারা অবলম্বন
৪. কর্মী হওয়ার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরা।
৫. মৌলিক ইবাদতের প্রতি আগ্রহ বাড়ানো।
৬. ব্যক্তিগত Report সংরক্ষণের গুরুত্ব বুঝানো।
৭. প্রোগ্রাম সমূহে অংশগ্রহণ করানো।
৮. সাহিত্য অধ্যয়নের মানসিকতা তৈরি।
৯. ত্যাগ কুরবানীর মানসিকতা তৈরি।
১০. নবী-রাসূলদের জীবনী পেশ করা।
# কর্মী হওয়ার গুরুত্ব ঃ
১. ইসলামী আন্দোলন করা ফরজ। যেমন-নামায, রোজা ফরজ
২. একতাবদ্ধভাবে বসবাস ফরজ।
৩. কুরআনকে পরিপূর্ণ আমল করা ফরজ।
৪. মানুষ পৃথিবীতে আল্লাহর খলিফা।
৫. পৃথিবীতে ইসলামের প্রচার, প্রসার এবং ইসলাম কায়েম নবী-রাসূলদের পরে মু’মিনদের দায়িত্ব।
৬. আখেরাতের জীবনই স্থায়ী জীবন তা বুঝতে হবে। আখেরাতমুখী জীবন গঠন করতে হবে।
# আমরা কোন ধরনের কর্মী চাই ঃ
১. মেধাবী ছাত্র
২. চরিত্রবান
৩. বুদ্ধিমান ও কর্মঠ
৪. নেতৃত্বের গুণাবলী সম্পন্ন
৫. সমাজে বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রভাবশালী।
# একজন সমর্থক কেন কর্মী হতে চায়না/ কর্মী না হওয়ার কারণ।
* সংগঠন সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা না থাকা।
* কর্মী হলে অনেক কাজ করতে হবে এমন ধারণা।
* লেখাপড়ায় ক্ষতির আশংকা।
* নিয়মিত যোগাযোগ না রাখা।
* খেয়াল-খুশীমত জীবন-যাপনে অভ্যস্থতা
* সাংগঠনিক শৃঙ্খলাকে কঠিন মনে করা।
* পারিবারিক বাধা।
* কর্মী তৈরীর ক্ষেত্রে ক্রমধারা অবলম্বন না করা।
* অপপ্রচার, অপসংস্কৃতি।
* বন্ধু বান্ধবদের সাহচর্য।
* কুরআন পড়তে না জানা?
* আখেরাতের তুলনায় দুনিয়াকে প্রাধান্য দেয়া
ঙ্ আন্দোলনকে রাজনীতি মনে করা।
* কর্মী হওয়ার গুরুত্ব না বুঝা।
* Report রাখার গুরুত্ব না বুঝা।
* প্রাতিষ্ঠানিক বাধা।
* দায়িত্বশীলের কথা কাজে মিল না থাকা।
* দায়িত্বশীল অনুকরণীয় আদর্শ না হওয়া।
আদর্শ কর্মীর বৈশিষ্ট্য
কর্মী কাকে বলে ঃ
যিনি লক্ষ্য-উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে, কর্মসূচী ও কর্মপদ্ধতির আলোকে কাজ করেন তাকে কর্মী বলে।
ইসলামী আদর্শের কর্মী ঃ ইসলামকে সমাজের সর্বসত্দরে কায়েম করার প্রচেষ্টায় বা সংগ্রামে অংশ গ্রহণকারী ব্যক্তিকে ইসলামী আদর্শের কর্মী বলে।
ক. আদর্শ কর্মীর কাজ
১ জ্ঞান অর্জন করা
২ আনুগত্য করা
৩ শৃংখলা রক্ষা করা
৪ কর্মসূচী বাসত্দবায়নে সচেতন থাকা
৫ দাওয়াতী কাজ করা
৬ অর্পিত দায়িত্ব পালন করা
৭ সময়ের কুরবানী
৮ আন্দোলনে নিজেকে একাত্ম করা
৯ পরামর্শ দেয়া ও পরামর্শ নেওয়া
১০ যে কোন ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকা
১১ নিজ পরিবারের সংশোধন করা
খ. ব্যক্তিগত গুণাবলী ঃ
১ মজবুত ঈমান
২ উত্তম নৈতিক চরিত্র
৩ তাকওয়া
৪ ছবর
৫ হিকমত বা প্রজ্ঞা
৬ বিশুদ্ধ নিয়াত বা ইখলাস
৭ তাওয়াক্কুল বা আল্লাহ নির্ভরশীলতা
৮ দ্বীনি কাজে প্রতিযোগিতা
৯ আমানতদারী
১০ ওয়াদা পালন
গ. দায়ী হিসাবে গুণাবলী
১ সহজ ও সুন্দর ভাষায় কথা বলা
২ নম্রভাষী হওয়া
৩ কোমল হৃদয়
৪ ভাল দ্বারা মন্দের প্রতিরোধ
৫ ক্ষমাশীলতা
৬ আল্লাহর সাহায্য কামনা
৭ দাওয়াত অনুযায়ী আমল
৮ বিনয় ও নম্র হওয়া
৯ সর্বদা হাসিখুশী থাকা
১০ নিঃস্বার্থতা
ঘ. ক্ষতিকর বর্জনীয় গুণাবলী
১ অহংকার
২ রিয়া বা প্রদর্শনেচ্ছা
৩ হিংসা-বিদ্বেষ
৪ আত্মপুজা ও স্বার্থ পুজা
৫ পদের লোভ
৬ হীন মন্যতা
৭ কু-ধারণা
৮ গীবত
৯ চোগলখোরী
১০ কানাকানি-ফিসফিসানী
১১ মেজাজের ভারসাম্যহীনতা
১২ একগুয়েমী
১৩ অনত্দরের সংকীর্নতা
১৪ রুক্ষ মেজাজ
১৫ তাড়াহুড়া করা
১৬ হতাশা
১৭ কাপুরুষতা
১৮ দূর্বলতা
ঙ. আদর্শ কর্মীরূপে গড়ে উঠার উপায়
১ দৃঢ় অংগীকার-সংকল্প
২ নিয়মিত কুরআন ও হাদীস অধ্যয়ন
৩ নিয়মিত ইবাদাত পালন
৪ পড়া-লেখার মান বৃদ্ধি
৫ নিয়মিত সালাত আদায়
৬ নিয়মিত ইবাদাত পালন
৭ নিয়মিত রিপোর্ট রাখা
৮ নিয়মিত আত্ম সমালোচনা
৯ আল্লাহর পথে দান করা
১০ নফসের সাথে জিহাদ
১১ সোহবাত বা উত্তম সংসর্গ
১২ তাওবা-ইসত্দিগফার
১৩ মানুষের খেদমত করা
১৪ আখেরাতের চিন্তা করা