কুরআনের মর্মকথা

কুরআনের মর্মকথা

 

সাইয়েদ আবুল আলা মওদুদী

 

*কুরআনের মর্ম উপলব্ধ্বির সঠিক ও বৈজ্ঞানিক পন্থা এখানে তুলে ধরা হয়েছে।

*তাফহিমুল কুরআন গ্রন্থটি কাদের জন্য ?

১।আরবি ভাষা ও সাহিত্যে পন্ডিত যারা কুরআনের গভির জ্ঞান অর্জন করতে চান তাদের জন্য নয়।

২।মাঝারি পর্যায়ের শিক্ষিত লোক যারাঃ-

ক। স্বাভাবিক ভাবে সহজ পন্থায় কুরআন বুঝতে,

খ। এর মূল বক্তব্য,উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য সংশয়মুক্ত হয়ে উপলব্ধি করতে,

গ। কুরআন এর প্রভাবে নিজের চিন্তা-চেতনাকে প্রভাবিত করতে,

ঘ। নিজের মনকে সন্ধেহ মুক্ত করে স্বচ্ছ, সুন্দর ও নির্মল করতে চান। তাদের জন্য এ গ্রন্থটি রচিত।

অনুবাদের পদ্ধতি

শাব্দিক নয় বরং স্বাধীন-স্বচ্ছন্দ অনুবাদ ও ভাব প্রকাশের পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়েছে।

এ পদ্ধতি অবলম্বনের কারন

১। রচনার গতিশীলতা, বর্ণনার শক্তি, ভাষার অলংকারিত্ব ও বক্তব্যের প্রভাব বিস্তার কারী ক্ষমতা যাতে সুস্পষ্ট হয়ে পাঠককে আকৃষ্ট করে।

২। পাঠকের মনকে প্রভাবিত করা ও বক্তব্য বোধগম্য করার জন্য।

৩। কুরআন রচনার আকারে নয় বরং ভাষনের আকারে অবতির্ণ হয়েছে। তাই শাব্দিক অনুবাদ হলে বাক্যটি অসংলগ্ন হয়ে পড়ে।

৪।কোন বক্তব্যকে প্রবন্ধ আকারে লেখলে পড়ার সময় সম্পর্কহীনতা অনুভূত হয়। যা শাব্দিক অনুবাদে নিরসন সম্ভব নয়।

৫।প্রতিটি সুরা এবং বিভিন্ন ভাষনের সাথে এর প্রেক্ষাপট বা শানেনুযুলের গভির সম্পর্ক বিদ্যমান যা শাব্দিক অনুবাদে বুঝানো সম্ভব পর নয়।

৬। বিভিন্ন প্রচলিত শব্দ আভিধানিক অর্থে ব্যবহৃত না হয়ে কোন বিশেষ অর্থে ব্যবহার হয়েছে।আবার বিভিন্ন সময় বিভিন্ন শব্দকে বিভিন্ন অর্থে ব্যবহার করা হয়েছে।যেমন-'কুফর'।তাই sense বা ভাব বুঝে তার অনুবাদ করা হয়েছে।

*প্রতিটি সুরার শুরুতে ভূমিকা লেখা হয়েছে যাতে প্রতিটি বাণীর পটভূমি,প্রতিটি সূরা নাযিলের সময়,তখনকার অবস্থা,ইসলামি আন্দোলনের চাহিদা ও প্রয়োজন,সে সময়কার সমস্যাবলী প্রভৃতি আলোচিত হয়েছে।

তাফহীম পাঠ করে উপকৃত হবার পরামর্শঃ

১। প্রতিটি সুরার ভূমিকা পাঠকরা।

২। শাব্দিক অনুবাদ দেখা।

৩। ধারাবাহিক রচনার মতো তাফহীমের অনুবাদ পড়া।

৪। টীকা ও ব্যাখ্যা পাঠ করা।

কুরআন পাঠকের সংকট

১। অন্যান্য বইয়ের মতো তাতে একটি নির্দিষ্ট বিষয়বস্তু,সূচি,অধ্যায় ও অনুচ্ছেদ আকারে তার বক্তব্য সাঝানো নয়।

২।আকীদা-বিশ্বাস, নৈতিক বিধি-নির্দেশ,শরিয়তের বিধান,দাওয়াত, উপদেশ, সতর্কবাণী, সমালোচনা, পর্যালোচনা, নিন্দা-তিরষ্কার, ভীতি প্রদর্শন, সুসংবাদ, সান্তনা, যুক্তি-প্রমাণ, সাক্ষ্য এবং ঐতিহাসিক কাহিনী ও প্রাচীন প্রত্নতাত্বিক নিদর্শনের প্রতি ইংগিত-প্রভৃতি একটির সাথে আরেকটি কিংবা মাঝখানে অন্য কোনটি এলে এতে মনে হতে পারে-'এটি একটি অবিন্যস্তু অসংলগ্ন ও বিক্ষিপ্ত বক্তব্যের সমষ্টি'।

৩। অন্যান্য বইয়ের মত এই কিতাবের বিষয়বস্তু, মূল বক্তব্য ও কেন্দ্রীয় আলোচ্য বিষয় উপস্থাপিত হয়নি।

৪। বর্ণনা ও বিশ্লেষন পদ্ধতিও সাধারন বইয়ের চেয়ে ভিন্ন।

সংকট উত্তরনের উপায়

নিম্নোক্ত প্রশ্নের জবাব পাঠকের কাছে পরিষ্কার থাকা চাই।

ক) কোরআন কোন ধরনের কিতাব ?

খ) কিভাবে অবতীর্ন হল ?

গ) এর সংকলন ও বিন্যাস পদ্ধতি কি ছিল ?

ঘ) এর বিষয়বস্তু ও আলোচ্য বিষয় কি ?

ঙ) কোন বক্তব্য ও লক্ষ্য বিন্দুকে ঘিরে এর সমস্ত আলোচনা আবর্তিত হয়েছে ?

চ) কেন্দ্রীয় বিষয়বস্তুর সাথে সম্পর্কিত এর অসংখ্য বিভিন্ন পর্যায়ের বিষয়াবলী কি ?

ছ) এর বর্ণনার ধারা ও যুক্তি প্রমাণ উপস্থাপন পদ্ধতি কিরুপ ?

কুরআনের মূল বিষয় নিম্নরুপ

১। মানুষের স্রষ্টা ও মালিক আল্লাহ আমাদের এক ধরণের স্বাধীনতা দিয়ে খলিফা পদে অভিষিক্ত করেছেন।

২। মানুষের কাজ হল সে একমাত্র আল্লাহর উপাসনা করবে এবং আল্লাহ ছাড়া সব রকমের আনুগত্যের বন্ধন থেকে নিজেকে সম্পূর্ন মুক্ত ও স্বাধীন রাখবে। তা করলে দুনিয়ার শান্তি, নিরাপত্তা ও নিশ্চিন্তা সহ পরকালে জান্নাত লাভ করবে। অন্যথায় সে বিপর্যয় ও অস্থিরতার মুখামুখি হবে এবং পরকালে জাহান্নামের কঠিন শাস্তি ভোগ করবে।

৩। আদম (আ) থেকেই ওহি জ্ঞানের ভিত্তিতে মানুষ আল্লাহর অনুগত জীবন পদ্ধতি (ইসলাম) অনুস্মরন করে আসছে। কিন্তু অজ্ঞতার বসে তারা আল্লাহ প্রদত্ত যথার্থ জ্ঞানের মধ্যে বিভিন্ন প্রকার কল্পনা, ভাববাদ, মনগড়া মতবাদ ও দর্শনের মিশ্রন ঘটিয়ে অসংখ্য ধর্মের সৃষ্টি করেছে।

৪। আল্লাহ বিপথগামী মানুষকে জোর পূর্বক সঠিক পথে ফিরিয়ে না এনে কিংবা তড়িৎ ধ্বংশ না করে কিছু মানুষকে নিজের প্রতিনিধি মনোনীত করে সত্য পথের প্রচার ও চর্চার ব্যবস্থা করেন।

৫। এরা ছিলেন আল্লাহর নবী। তাঁরা বিভিন্ন জনপদ ও জাতির মধ্যে প্রেরিত হন। তাঁরা সবাই ছিলেন মুসলিম। তাঁরা নিজের অর্পিত নিশন যথাযথ ভাবে পালন করেছেন। কিন্তু ঐ জনগোষ্টির একটি অংশ নবীর দাওয়াত কেই প্রত্যাখান করেছে, আবার যারা গ্রহন করেছে তাদের মধ্যেকার কিছুসংখ্যক মানুষ পরবর্তিতে নিজেদের চিন্তা ও পদ্ধতিকে বিকৃত করে নিয়েছে।

৬। আল্লাহর সর্বশেষ নবী মুহাম্মদ (স)-এর উপর এ কালাম অবতীর্ণ হয়। সবার কাছে নতুন করে আল্লাহর হেদায়াত পৌঁছে দেয়া এবং অনুগতদের এমন একটি উম্মতে পরিনত করা যারা নিজেরা হেদায়তের উপর চলবে এবং এরই আলোকে গোটা জগতের সংশোধন ও সংস্কারের প্রচেষ্টা ও সংগ্রাম চালাবে। এই দাওয়াত ও হেদায়াতের কিতাব হচ্ছে আল-কুরআন।

আল-কুরআনের মূল আলোচ্য বিষয়

* এর মূল বিষয়বস্তু মানুষ-তথা মানুষের কল্যান ও অকল্যানের দিক নির্দেশনা।

* এর চুড়ান্ত লক্ষ্য ও বক্তব্য হচ্ছে-

১। মানুষকে সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি ও কর্মনীতি অবলম্বনের প্রতি আহবান জানানো।

২। আল্লাহর হেদায়াতকে দ্ব্যররথহীনভাবে পেশ করা।

* এর আলোচনার মূল কেন্দ্রবিন্দু ইসলামী দাওয়াত।

কুরআন নাযিলের পদ্ধতি ও দাওয়াতের পর্বগুলো

* একসাথে লিখিত আকারে নয় বরং দাওয়াতের পর্যায় ও প্রয়োজনের আলোকে তা অবতীর্ণ হয়।

* প্রথম দিকে তিনটি বিষয় সম্বলিত 'পাঠ' নাযিল হয়-

১। নবীকে শিক্ষা দান।

২। যথার্থ সত্যের প্রাথমিক তথ্যাবলী সরবরাহ ও মিথ্যার অপনোদন।

৩। সঠিক কর্ম নীতির দিকে আহবান।

(দ্রষ্টব্যঃ সুরা আলাক ১-৬, সুরা মুদ্দাসির ১-৭।)

দাওয়াতের সূচনা পর্ব

প্রথম চার পাঁচ বছর জারি থাকা এ পর্বে শিল্প-সাহিত্য রস সমৃদ্ধ ব্যাপক অর্থবোধক সংক্ষিপ্ত বাক্য দিয়ে মক্কার মানুষের হৃদয় তন্ত্রীকে ঝাকুনি দেয়া হয়েছে। এর ফলে তিনটি প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।

১। সল্পসংখ্যক লোক দাওয়াত কবুল করে ঐক্যবদ্ধ হয়।

২। বিপুল সংখ্যক লোক এর বিরোধিতার প্রস্তুতি নেয়।

৩। মক্কার বাইরেও এর প্রভাব প্রতিধ্বনিত হতে থাকে।

দাওয়াতের দ্বিতীয় অধ্যায়

এ পর্যায় পরবর্তী ৮/৯ বছর অর্থাৎ মক্কিযুগের বাকি সময়। এ সময় ইসলামী আন্দোলন ও পুরাতন জাহেলিয়াতের মধ্যে কঠিন সংঘাতের সৃষ্টি হয়। জাহেলি শিবির থেকে লাগামহীন অভিযোগ, সন্দেহ, আপত্তি ও মিথ্যা প্রচারনার পাশাপাশি অর্থনৈতিক ও সামাজিক বয়কটসহ বর্বর পাশাবিক নির্যাতন চলে। অন্যদিকে ক্রম বর্ধমান বাধা স্বত্বেও ইসলামী আন্দোলন বিস্তার লাভ করতে থাকে এবং সমাজে ইতোপুর্বে ভাল মানুষ হিসেবে প্রশংসিত মানুষরাই এদিকে বেশি যোগদান করতে থাকে।

এ সময়কার ভাষনে ঈমানদারদের প্রাথমিক দায়িত্ব ও কর্তব্য, আল্লাহর পথে ধৈর্য, সহিষ্ণুতা, অবিচলতা ও উন্নত মনোবলের সংগ্রাম সাধনার উদ্দিপনা এবং দলীয় চেতনা সৃষ্টি করা হয়েছে। তাদের তাকওয়া, উন্নত চারিত্রিক মাধুর্য গঠন ও দীন প্রচারের পদ্ধতি শিখিয়ে সাফল্যের অঙ্গীকার ও জান্নাত লাভের সুসংবাদ প্রদান করা হয়েছে। অন্যদিকে জাহেলদের তিরস্কার করে ইহ ও পরকালের ভীতি প্রদর্শন করা হয়েছে। দাওয়াতের বিস্তৃতি ও বাধার রকম্ফেরের কারনে এ স্তর বিভিন্ন পর্যায়ে বিভক্ত। সে কারনে অবতীর্ন বাণী সমুহের বৈচিত্র বাড়তে থেকেছে। এ সময় আভ্যন্তরীন ভাবে জাহেলিয়াতের অবস্থা ছিল "বরং আমি সত্যকে মিথ্যার উপর নিক্ষেপ করি, অতঃপর সত্য মিথ্যার মস্তক চুর্ণ-বিচূর্ণ করে দেয়, অতঃপর মিথ্যা তৎক্ষণাৎ নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। তোমরা যা বলছ, তার জন্যে তোমাদের দুর্ভোগ।"(আম্বিয়া-১৮)।

দাওয়াতের তৃতীয় অধ্যায়

এ পর্যায়টি মাদানি যুগের। এখানে ইসলামী আন্দোলন রাষ্ট্র শক্তির অধিকারী হয়। এখানে তাদের শত্রু 'এক' থেকে বেড়ে 'তিন'-এ পরিনত হয়।

১। পুরাতন জাহেলিয়াত, ২। আহলে কিতাব ও ৩। মুনাফিক।

দশ বছর ব্যাপি কঠিন সশস্ত্র সংঘাত সংঘর্ষের মাধ্যমে ইসলাম সমগ্র আরবে আধিপত্য বিস্তার করল। খুলে গেল বিশ্বজনিন দাওয়াত ও সংস্কারের দুয়ার। তাই এ সময়ের অবতীর্ণ ফরমানে দল (সরকার), রাষ্ট্র ও সুন্দর নাগরিক জীবনের প্রয়োজন, জীবন ঘনিষ্ট বিভাগ গুলোর নীতী ও বিধি আলোচিত হয়েছে। এখানে একদিকে ঈমানদারদের ট্রেনিং ও সর্ব পরিস্থিতিকে মানিয়ে আল্লাহর খেলাফতির দায়িত্ব পালনের নৈতিক শিক্ষা প্রদান করা হয়েছে। অন্যদিকে আহলে কিতাব, মুনাফিক ও কাফিরদের উপদেশ প্রদান ও সতর্ক করা হয়েছে।

কুরআনের বর্ণনা ভঙ্গি

কুরআনের বর্ণনাভঙ্গি PHD-র জন্য লিখিত থিসিসের মতো নয়, কিংবা অধ্যাপকের বক্তিতার মতো ও নয় বরং একজন আহবায়কের বক্তিতার মতো। এতে তাওহীদ, আল্লাহর গুনাবলী, আখেরাত, কিয়ামত, রেসালত, কিতাবের উপর ইমান, তাকওয়া, সবর, তাওয়াক্কুল প্রভৃতির আলোচনা বারবার এসেছে। কারণ ইসলামী আন্দোলন তার কর্মীর মাঝে এসব মৌলিক চিন্তা ও ধারনার নিত্য উপস্থিতি দাবী করে।

কুরআনের বিন্যাস

কুরআন নাযিলের সময়ের ক্রমানুসারে তা বিন্যস্ত করে সাঝানো হয়নি বরং আল্লাহর ইঙ্গিতে রাসুল (স) পূর্ণতা লাভকারী উম্মতের প্রয়োজনানুসারে গ্রন্থনা ও সম্পদনা করেন। এর মধ্যে অনুপ্রবেশ বা হস্তক্ষেপ করার অধিকার ও ক্ষমতা কারো ছিল না।

কুরআন অধ্যয়নের পদ্ধতি

১। পূর্ব প্রতিষ্ঠিত চিন্তাধারা ও মতবাদ থেকে মন-মস্তিস্ককে মুক্ত রাখতে হবে।

২। গভির অর্থ বুঝার জন্য বার বার পড়তে হবে।

৩। প্রতিবার নতুন ভঙ্গিমায় পড়তে হবে।

৪। নোট করতে হবে।

৫। কোন খটকা লাগলে তা নোট করে অধ্যয়ন চালিয়ে যেতে হবে।

৬। এরপর বিস্তারিত অধ্যয়নে গিয়ে কুরআনী শিক্ষার এক একটি দিক ও বিভাগ পূর্ণরূপে অনুধাবন করে নোট করা চাই।

কুরআনের প্রাণ সত্তা অনুধাবন

মানব সমস্যার সমাধান ও তার চাহিদা পূরনে কুরআনের আগমন। এর বাহক ও অনুসারিরা চর্চার মাধ্যমেই একে বুঝছেন। তাই বাস্তব জীবনে এর অনুশীলন ছাড়া তার যথার্থ অনুধাবন ও তৃপ্তি লাভ সম্ভব নয়।

কুরআনী দাওয়াতের বিশ্বজনীনতা

আরব জনপদটি দাওয়াত ও সংস্কারের প্রথম ক্ষেত্র হলেও শিরক ও তাওহীদের ব্যাপারে এর বক্তব্য সকল মানুষের সমান মর্যাদা ও অধিকার প্রদান এবং পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে খাপ খেয়ে চলার মতো চিরন্তন ব্যবস্থা তাকে বিশ্বজনীন গৌরব প্রদান করেছে।

পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান

* এ কিতাব পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধানের মূলনীতি ও মৌলিক বিষয়গুলো পেশ করে।

* যুক্তি প্রমান আবেগময় আবেদন দিয়ে এ কিতাব তার প্রতিষ্ঠাকামী শক্তিকে প্রচন্ড শক্তিশালী ও দৃঢভাবে সঙ্গবদ্ধ করে।

* জীবনের প্রতিটি বিভাগের চৌহদ্দি বাতলে দেয়।

* এ থেকে আল্লাহর ইচ্ছানুযায়ী বাস্তবে ইসলামী জীবন ধারার কাঠামো তৈরী, ব্যক্তি চরিত্র এবং সমাজ ও রাষ্ট্রের বাস্তব আদর্শ উপস্থাপন করার জন্যই নিযুক্ত হয়েছিলেন নবী মুহাম্মদ (স)। এ জন্যই তার সুন্নায় এর পূর্ণাঙ্গতা বিদ্যমান।

বৈধ মতপার্থক্য

১। দ্বীন ও ইসলামী জীবন ব্যবস্থার অনুগত থেকে শুধু বিধান ও আইনের ব্যাখ্যা বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে আন্তরিক মতবিরোধকে আল্লাহর রাসুল (স) প্রশংসা করেছেন।

২। ইসলামী সমাজ (সামগ্রিকভাবে মূলনীতিতে ঐক্যবদ্ধ থেকে,নিজের ঐক্য অটুট রেখে) নিজের জ্ঞানী ও চিন্তাশীল লোকদের সঠিক সীমা রেখার ভেতর অনুসন্ধান চালাবার ও ইজতিহাদ করার স্বাধীনতা দান করে উন্নতি ও অগ্রগতির পথ খোলা রাখার স্বর্ণোজ্জল ঐতিহ্যের পতাকাবাহী।

৩। যে মতবিরোধ স্বার্থান্ধতা ও বক্র দৃষ্টির মাধ্যমে সূচিত হয়, কিংবা দ্বীনের মৌলিক বিষয়ের ব্যাপারে যত পার্থক্য করা হয় অথবা মৌলিক নয় এমন বিষয়ে নিজের মত বলেই তাকে মৌলিক গুরুত্ব দিয়ে বিরুদ্ধাবাদীদের জাহান্নামির ফতোয়া দেয়া হয়......তা হচ্ছে ফেরকাবাজী দলাদলী। কুরআন এসব লোকদের কঠোর নিন্দা করেছে।

 

by nur husain.

 

Prayer Times For 6 Million Cities Worldwide
Country: