তাকওয়া

কুরআন

1. اِنَّ اَكْرَمَكُمْ عِنْدَ اللهِ اَتَقكُمْ ـ اِنَّ اللهَ عَلَيْمٌ خَبَيْرٌ ـ (حجرات ـ 13)
উচ্চারণ: : ইন্না আকরামাকুম ইন’দাল্লাহি আতকাকুম, ইন্নাল্লাহা আ’লীমুন খাবীর।
(১) নিশ্চয়ই আল্লাহর নিকট তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি অধিক সম্মানিত, যিনি তোমাদের মধ্যে সর্বাধিক আল্লাভীরু। নি:সন্দেহে আল্লাহ সবকিছু জানেন এবং সব বিষয়ে অবহিত। (সূরা-হুজরাত : ১৩)

يَآيُّهَا الَّذِيْنَ امَنُوْا التَّقُوْ اللهَ حَقَّ تُقَاتِه وَلاَ تَمُوْتُنَّ اِلاً وَاَنْتُمْ مُّسْلِمُوْنَ ـ (ال عمران ـ 102)
উচ্চারণ: : ইয়া আইয়ুহাল্লাযীনা আমানূতু তাকাল্লাহা হাক্কা তুকাতিহী ওয়া লা তামূতুন্না ইল্লা ওয়া আনতুম মুসলিমূন।
(২) হে ঈমানদারগণ! আল্লাহকে ভয় কর, তাকে যেরূপ ভয় করা উচিত। তোমরা মুসলমান না হয়ে মৃত্যুবরণ করো না। (সূরা আলে ইমরান : ১০২)

وَمَااتَكُمْ الرَّسُوْلُ فَخُذُوْهُ وَمَانَهَكُمْ عَنْهُ فَانْتَهُوَا وَاتَّقُوْا اللهَ اَنَّ اللهَ شَدِيْدُ الْعِقَابِ ـ (الحشر : 7)
উচ্চারণ: : ওয়া মা আতাকুমুর রাসূল ফাখযূহু ওয়া মা নাহাকুম আ’নহু ফানতাহূ ওয়াত্তাকুল্লাহা ইন্নাল্লাহা শাদীদুল ই’কাব।
(৩) রাসূল তোমাদের যা দান করেন তা তোমরা গ্রহণ কর। আর যা নিষেধ করেন তা হতে বিরত থাক। আল্লাহকে ভয় কর, নিশ্চয়ই আল্লাহ কঠিন শাস্তিদাতা (সূরা হাশর : ৭)
অনুসন্ধান করুন : (সূরা মায়েদা : ৪, ৭, সূরা : ১৮, সূরা আযহাব : ৭০)

يَآيُّهَا الَّذِيْنَ امَنُوْا لِمَ تَقُوْلُوْنَ مَالاَ تَفْعَلُوْنَ ـ كَبُرَ مَقْتًا عَنْدَ اللهِ اَنْ تَقُوْلُوْا مَالاَ تَقُوْلُوْا مَالاَ تَفْعَلُوْنَ ـ (الصف : 2,3)
উচ্চারণ: : ইয়া আইয়ুহাল্লাযীনা আমানূ লিমা তাকুলূনা মালা তাফআলূন। কাবুরা মাকতান ই’নদাল্লাহি আন তাকূলূ তাফআ’লূন।
(৪) হে ঈমানদারগণ! তোমরা যা করো না, তা তোমরা কেনো বলো? আল্লাহর কাছে এটা খুবই অপছন্দনীয় যে, তোমরা যা করো না তা তোমরা বলো। (সূরা ছফ : ২,৩)

হাদীস

عَنْ عَطَيَّةَ السَّعْدِيْ (رض) قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ (ص) يَبْلُغُ الْعَبْدُ اَنْ تَكُوْنَ مِنَ الْمُتَّقِيْنَ حَتّى يَدَعَ مَالاَ بَاسَ بِه حَذَرًا لِّمَا بِه بَاسَ ـ (ترمذي ـ ابن ماجه)
(১) আতিয়া আস-সাদী (রা) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল (সা) বলেছেন, কোন ব্যক্তি পাপ কাজ জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় যেসব কাজে গুনাহ নেই তা পরিত্যাগ না করা পর্যন্ত খোদাভীরু লোকদের শ্রেণীভূক্ত হতে পারে না। (তিরমিযী, ইবনে মাজাহ)

عَنْ عَائِشَةَ (رض) اَنَّ رَسُوْلَ اللهَ (صلعم) قَالَ يَاعَائِشَةُ اِيُّاكَ وَمُحَقِّرَاتِ الذُّنُوْبِ فِانَّ لَهَا مِنَ اللهِ طَالِبًا ـ (ابن ماجة)
(২) হযরত আয়েশা (রা) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল (সা) বলেছেন, হে আয়েশা! ক্ষুদ্রু ও নগণ্য গুনাহ থেকে ও আত্মরক্ষা করে চলবে। কারণ আল্লাহর দরবারে সেগুলো সম্পর্কেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। (ইবনে মাজাহ)

عَنْ اَبِيْ هُرَيْرَةَ (رض) قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ (صلعم) اَلْمُسْلِمُ اَخُوْالْمُسْلِمُ اَلاَ يَظْلِمُهُ وَلاَ يَخْذُلُهُ وَلاَيَحْقِرْهُ التَّقْوي هَهُنَا وَيُشِيْرُ اِلى صَدْرِه ثَلثَ مِرَارٍ بِحَسْبِ اِمْرِءٍ مِنَ الشَّرِاَنْ يُّحْقِرَ اَخَاهُ الْمُسْلِمِ كُلُّ الْمُسْلِمِ عَلَي الْمُسْلِمِ حَرَامُ دَمُه وَمَالَه عِرْضُه ـ
(৩) আবু হুরায়রা (রা) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন, মুসলমান মুসলমানের ভাই। সে তার উপর যুলুম করবে না, তাকে অসহায় অবস্থায় পরিত্যাগও করবে না এবং তাকে তুচ্ছ জ্ঞান করবে না। তিনি নিজের বুকের দিকে ইশারা করে বলেন, তাকওয়া এখানে, তাকওয়া এখানে, তাকওয়া এখানে। কোল লোকের নিকৃষ্ট সাব্যস্ত হওয়ার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট যে, সে তার মুসলিম ভাইকে তুচ্ছ জ্ঞান করে। প্রতিটি মুসলমানের জীবন, ধন-সম্পদ ও মান-সম্মান সকল মুসলমানের সম্মানের বস্তু (এর উপর হস্তক্ষেপ করা তাদের জন্য হারাম)। (মুসলিম)

Prayer Times For 6 Million Cities Worldwide
Country: