দাওয়াত

আরবী শব্দ
অর্থ-ডাকা, আহবান করা
সংজ্ঞা ঃ কোন লক্ষ্যকে সামনে রেখে ঐ লক্ষ্যের দিকে আহবান করা।
* দাওয়াতে দ্বীন ঃ
আল্লাহর পথে মানুষকে আহবান করাকে দাওয়াত ইলাল্লাহ বা দাওয়াতে দ্বীন বলে।
ইহকালীন শানত্দি, পরকালীন মুক্তি তথা ইসলামী জীবন বিধানের পথে আহবান করাকে দাওয়াত ইলাল্লাহ বলে।
গুরুত্ব ঃ
১. হামীম আস-সাজদা-৩৩-দাওয়াতের কাজ হচ্ছে সর্বোত্তম কাজ।
২. জিহাদের ১ম কাজ দাওয়াত
৩. নাহল-১২৫, সরাসরি দাওয়াতের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
** আলে-ইমরান-১১০, ১০৪
আহযাব-৪৫-৪৬ শুরা-১৫
আরাফ-৫৯,৭৩,৮৫,৬৫ ফাতির-২৪
ইউসুফ-১৫৮ ইব্রাহীম-৫
মুদ্দাচ্ছির-১-৩ বনি-ইসরাঈল-৫৩
হাদীস ঃ
* তোমরা অবশ্যই সৎ কাজের আদেশ দিবে এবং অসৎকাজ থেকে বিরত রাখবে।
** নচেৎ তোমাদের উপর যন্ত্রণাকর আযাব দেয়া হবে, তোমরা দোয়া করবে কিন্তু কবুল করা হবে না।
# দাওয়াতী কাজ কেন করতে হবে?
রাসূল (সঃ)-এর সর্বশেষ নির্দেশ
ঙ্ রাসূল (সঃ) উম্মত হিসেবে দাওয়াতী কাজ বাধ্যতামূলক
ঙ্ সর্বোত্তম সর্বশ্রেষ্ঠ জাতি হতে হলে
ঙ্ আত্মগঠনের জন্য
ঙ্ দাওয়াতী কাজের কথাই/কাজই সর্বোত্তম।
ঙ্ সহজে জান্নাত লাভের উপায়।
ঙ্ ইহকালীন শান্তি ও পরকালীন মুক্তির জন্য
আল্লাহর নাফরমানীর সীমা ঃ
১. ফিসক ঃ স্বীকার করা কিন্তু পালন না করা
২. কুফর_ অস্বীকার করা
৩. তাগুত_দুটোই করা।
# প্রকার ঃ
(ক) দাওয়াতে দ্বীন, (খ) দাওয়াতে তাগুত
# দাওয়াতে দ্বীনের উদ্দেশ্য ঃ
১. ইসলাম কায়েমের জন্য (একমাত্র এ উদ্দেশ্যেই মুসলমানদেরকে দাওয়াত দেয়া হয়।)
২. দ্বীন কায়েম করা নবী রাসুল (সঃ)-এর উদ্দেশ্য খেদমতে দ্বীন উদ্দেশ্য ছিল না।
৩. দ্বীনকে বিজয়ী করাই উদ্দেশ্য; অন্যান্য মতাদর্শকে নির্মুল করা নয়।
# রাসূল (সঃ)-এর দাওয়াতের সত্দর
ক. দাওয়াত ও তাবলীগ
_ গোপনে দাওয়াত
_ প্রকাশ্যে দাওয়াত
খ. ইকামাতে দ্বীন
গ. আমরু বিল মা’রুফ, নেহি আনিল মুনকার।
# দায়ীর বৈশিষ্ট্য ঃ
ইসলামের যথার্থ জ্ঞান।
ধৈর্য্যশীল; নুহ (আঃ) কে পাথর মেরে স্তুপের ভিতর ফেলে দিয়েছিল।
ক্ষমাশীল; তায়েফে আল্লাহর রসূল (সঃ)
আ’মলে সালেহকারী।
কথা ও কাজে মিল থাকা।
শয়তানের প্ররোচনা থেকে মুক্ত থাকা।
নিঃস্বার্থভাবে দাওয়াতী কাজ করা।
দা’য়ী ইলাল্লাহর মর্যাদা ও যিম্মাদারীর অনুভূতি থাকা।
সর্বদা হাস্যেজ্জ্বল চেহারা।
ইসলামের প্রতি অবিচল বিশ্বাস
প্রজ্ঞার অধিকারী হওয়া।
সাহসী চরিত্র।
সকল প্রকার মানবিক দুর্বলতা থেকে বিরত থাকা।
দাওয়াতী কাজের পদ্ধতি ঃ
টার্গেট নির্ধারণ
সম্পর্ক তৈরী
সুন্দর সম্বোধন
নিজে পবিত্রতা ও পরিচ্ছন্নতার মুর্ত প্রতীক হওয়া।
সুন্দর, গোছানো ও পরিপাটি কথাহিকমত/কৌশল অবলম্বন।
ঠাণ্ডা মাথা ও পরিবেশগত উত্তম পন্থা।
দাওয়াতী কাজের সুচনায় আখেরাতের বিষয়কে অধিক গুরুত্বদান।
# দাওয়াতী কাজে বিরোধীতা করে কারা ঃ
কায়েমী স্বার্থবাদী গোষ্ঠী- [প্রতিষ্ঠিত অনৈসলামিক সমাজ ব্যবস্থার অর্থনৈতিক চাবিকাঠি যাদের হাতে ন্যসত্দ থাকে, তারাই কায়েমী স্বার্থবাদী]
সমাজে নেতৃত্বদানকারী ব্যক্তিবর্গ।
সুবিধাভোগী ধর্মীয় সমপ্রদায়। সূরা তাওবা-২৪
# বিরোধিতার শাখা ঃ
১. বিদ্রূপ ও উপহাস-সহপাঠী, আত্মীয়স্বজন
২. প্রলোভন ও লোভ লালসা
৩. নির্যাতন ও যুলুম।
৪. নফস
৫. সামাজিক কুসংস্কার
৬. ধর্মীয় নেতা, পীর দরবেশ, মুরবী
৭. অর্থনৈতিক শক্তি
৮. কায়েমী স্বার্থবাদী রাষ্ট্রশক্তি।
# দাওয়াতী কাজে বিরোধীতা কেন?
১. অজ্ঞানতার কারণে/না জানার কারণে।
২. ইসলাম সকল মতাদর্শের উপর বিজয়ী থাকতে চায়
৩. স্বার্থে আঘাত
*দ্বীন প্রচারের এ পথ কণ্টকাকীর্ণ বাধা আসবেই।
* বাধা বা বিরোধীতা না আসলে বুঝতে হবে দাওয়াত অপূর্ণাংগ।
# দাওয়াতী কাজ ফলপ্রসু না হওয়ার কারণ ঃ
১. আদর্শের অনুসারীরা পূর্ণ আনত্দরিকতার সহিত কাজ না করা।
২. পরিকল্পিত ও টার্গেটভিত্তিক দাওয়াতী কাজ না হওয়া/করা।
৩. মানুষের হৃদয়ে নাড়া দেয়ার মত কথা বলতে না পারা।
৪. কর্মপদ্ধতির যথাযথ বাসত্দবায়ন না করা।
৫. দা’য়ীর আমলিয়াতে ঘাটতি।
৬. গতানুগতিক দাওয়াতী কাজ।
Prayer Times For 6 Million Cities Worldwide
Country: