পবিত্র রমযান মাসের আমল ও দোয়াসমূহ

পবিত্র রমযান মাসের আমল ও দোয়াসমূহ

পবিত্র রমযান মাসের রাতে যে সব আমল করা হয় তা হচ্ছে :

১. ইফতার : হারাম (অবৈধভাবে অর্জিত) ও সন্দেহভাজন জিনিস থেকে পবিত্র এমন কিছু খাদ্য দিয়ে ইফতার করা। তবে উত্তম হচ্ছে খেজুর দিয়ে ইফতার করা।
খেজুর দিয়ে ইফতার করা মুস্তাহাব। দুধ অথবা হালুয়া দিয়ে ইফতার করাও উত্তম।

২. ইফতারের সময় এ দোয়া পড়া :

اَللّهُمَّ لَكَ صُمْتُ وَ عَلَى رِزْقِكَ أَفْطَرْتُ وَ عَلَيْكَ تَوَكَّلْتُ

হে আল্লাহ্‌! তোমারই জন্য রোযা রেখেছি, তোমার প্রদত্ত জীবিকা দিয়ে ইফতার করছি এবং তোমার ওপর ভরসা করছি।

৩. ইফতারের শুরুতে খাবার মুখে দেয়ার সময় পড়ার আরেকটি দোয়া :

بِسْمِ اللهِ الرَّحْمَانِ الرَّحِيْمِ يَا وَاسِعَ الْمَغْفِرَةِ اغْفِرْلِيْ

পরম করুণাময় ও দাতা আল্লাহ্‌র নামে, হে অত্যন্ত ক্ষমাশীল! আমাকে ক্ষমা করো।

৪. ইফাতারের সময় সূরা কদর পড়া।

৫. ইফতারের সময় দান সদকা করা।

৬. রোযাদারকে ইফতার করানো, যদি তা একটুকরা খেজুর বা শরবত বা পানিও হয়। মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি কোন রোযাদারকে ইফতার করাবে
সে রোযাদারের মতোই সওয়াব পাবে অথচ ঐ রোযাদারের সওয়াব বিন্দুমাত্র কম করা হবে না। আর ইফতারকারী যেমন পুণ্য করেছে ঠিক সেরকম সওয়াব পাবে।’৭. প্রতি রাতে ১০০০ বার সূরা কদর পড়া।

৮. মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.) বলেছেন, ‘রমযান মাসে প্রতিটি ফরজ নামাযের পর যে ব্যক্তি এ দোয়া পড়বে মহান আল্লাহ্‌ কিয়ামত দিবস পর্যন্ত তার সমস্ত পাপ
ক্ষমা করে দেবেন।’

اَللَّهُمَّ أَدْخِلْ عَلَى أَهْلِ الْقُبُوْرِ السُّرُوْرَ اللَّّهُمَّ أَغْنِ كُلَّ فَقِيْرٍ اللَّهُمَّ أَشْبِعْ كُلَّ جَائِعٍ اللَّهُمَّ اكْسُ كُلَّ عُرْيَانٍ اللَّهُمَّ اقْضِ دَيْنَ كُلِّ مَدِيْنٍ اللَّهُمَّ فَرِّجْ عَنْ كُلِّ مَكْرُوْبٍ اللَّهُمَّ رُدَّ كُلَّ غَرِيْبٍ اللَّهُمَّ فُكَّ كُلَّ أَسِيْرٍ اللَّهُمَّ أَصْلِحْ كُلَّ فَاسِدٍ مِنْ أُمُوْرِ الْمُسْلِمِيْنَ اللَّهُمَّ اشْفِ كُلَّ مَرِيْضٍ اللَّهُمَّ سُدَّ فَقْرَنَا بِغِنَاكَ اللَّهُمَّ غَيِّرْ سُوْءَ حَالِنَا بِحُسْنِ حَالِكَ اللَّهُمَّ اقْضِ عَنَّا الدَّيْنَ وَ أَغْنِنَا مِنَ الْفَقْرِ إِنَّكَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ

হে আল্লাহ্‌! যারা কবরে শায়িত আছে তাদেরকে সুখ-কাননে প্রবেশ করাও। হে আল্লাহ্‌! সমস্ত দরিদ্রকে ধনী করো। হে আল্লাহ্‌! প্রতিটি ক্ষুধার্তকে তৃপ্ত কর। হে আল্লাহ্‌! বস্ত্রহীনদেরকে বস্ত্র পড়াও। হে আল্লাহ্‌! ঋণীদের ঋণ পরিশোধ করে দাও। দুঃখীদের দুঃখ দূর করে দাও। হে আল্লাহ্‌! মুসলমানদেরকে যাবতীয় বিশৃঙ্খলা থেকে মুক্ত করো। হে আল্লাহ্‌! রোগীদের আরোগ্য দান করো। হে আল্লাহ্‌! তোমার প্রাচুর্যের দ্বারা আমাদের দারিদ্র্য মোচন কর। হে আল্লাহ্‌! আমাদের দুরাবস্থাকে তোমার সন্তুষ্টি দ্বারা সু-অবস্থায় পরিণত করে দাও। হে আল্লাহ্‌! আমাদের ঋণ পরিশোধ করে দাও এবং আমাদের দারিদ্র্য ও অভাব দূর করে দাও। নিশ্চয়ই তুমি সর্বশক্তিমান।

৯. যে ব্যক্তি রমযানের প্রতিটি রাতে নিম্নোক্ত দোয়া পড়বে তার চল্লিশ বছরের গুনাহ মাফ করা হবে :

اَللَّهُمَّ رَبَّ شَهْرِ رَمَضَانَ الَّذِيْ أَنْزَلْتَ فِيْهِ الْقُرْآنَ و اقْتَرَضْتَ عَلَى عِبَادِكَ فِيْهِ الصِّيَامَ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَ آلِ مُحَمَّدٍ وَ ارْزُقْنِيْ حَجَّ بَيْتِكَ الْحَرَامِ فِيْ عَامِيْ هَذَا وَ فِيْ كُلِّ عَامٍ وَ اغْفِرْلِيْ تِلْكَ الذُّنُوْبَ الْعِظَامَ فَإِنَّهُ لَا يَغْفِرُهَا غَيْرُكَ يَا رَحْمَانُ يَا عَلَّامُ

হে আল্লাহ্‌! হে রমযান মাসের প্রভু! যে মাসে তুমি পবিত্র কোরআন অবতীর্ণ করেছ এবং এ মাসে তুমি তোমার বান্দাদের ওপর রোজা ফরজ করেছ। হে আল্লাহ্‌! হযরত মুহাম্মাদ (সা.) ও তাঁর বংশধরদের ওপর সালাম ও দরূদ প্রেরণ কর। এ বছর এবং প্রতি বছর তোমার পবিত্র ঘর কাবায় হজ্ব করার তৌফিক দান করো। আমার সকল বড় পাপ ক্ষমা করে দাও। কেননা, তুমি ছাড়া আর কেউই পাপ ক্ষমা করতে পারে না। হে দয়ালু ও সর্বজ্ঞানী!

১০. হযরত জাফর সাদেক (রহ.) থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, রমযান মাসের প্রত্যেক রাতে এ দোয়া পড়তে হয় :

اللَّهُمَّ إِنِّيْ أَسْأَلُكَ أَنْ تَجْعَلَ فِيْمَا تَقْضِيْ وَ تُقَدِّرُ مِنَ الْأَمْرِ الْمَحْتُوْمِ فِيْ الْأَمْرِ الْحَكِيْمِ مِنَ الْقَضَاءِ الَّذِيْ لَا يُرَدُّ وَ لَا يُبَدَّلُ أَنْ تَكْتُبَنِيْ مِنْ حُجَّاجِ بَيْتِكَ الْحَرَامِ الْمَبْرُوْرِ حَجُّهُمُ الْمَشْكُوْرِ سَعْيُهُمُ الْمَغْفُوْرِ ذُنُوْبُهُمُ الْمُكَفَّرِ عَنْ سَيِّئَاتِهُمْ وَ أَنْ تَجْعَلَ فِيْمَا تَقْضِيْ وَ تُقَدِّرُ أَنْ تُطِيْلَ عُمْرِيْ فِيْ خَيْرٍ وَ عَافِيَةٍ وَ تُوَسِّعَ فِيْ رِزْقِيْ وَ تَجْعَلَنِيْ مِمَّنْ تَنْتَصِرُ بِهِ لِدِيْنِكَ وَ لَا تَسْتَبْدِلْ بِيْ غَيْرِيْ

হে আল্লাহ্‌! লাইলাতুল কাদ্‌র বা মহিমান্বিত রাতে কাযা ও কাদ্‌র সংক্রান্ত যেসব প্রজ্ঞাময় অবশ্যম্ভাবী বিষয় তুমি নির্ধারণ করো যা ফেরানোও যাবে না এবং পরিবর্তিতও হবে না সেক্ষেত্রে আমি প্রার্থনা করছি আমাকে তোমার পবিত্র গৃহ কাবার ঐসব হজ্ব আদায়কারীর অন্তর্ভুক্ত করো যাদের হজ্ব পুণ্যময়, যাদের প্রচেষ্টা প্রশংসনীয়, যাদের পাপ ক্ষমা করা হয়েছে এবং অসৎ কাজসমূহের কাফ্‌ফারা আদায় করা হয়েছে। হে আল্লাহ্! তুমি যা কিছু কাযা ও কাদ্‌রে নির্ধারণ করো তন্মধ্যে তুমি আমার জীবনকে দীর্ঘ করো এবং আমাকে মঙ্গল ও কল্যাণে রাখ, আমার জীবিকাকে প্রশস্ত করে দাও এবং আমাকে ঐসব ব্যক্তির অন্তর্ভুক্ত করো যাদের মাধ্যমে তুমি তোমার ধর্মকে সাহায্য করবে এবং আমার স্থলে অন্যজনকে বসিও না।

১১. ফজর হওয়ার আগে অর্থাৎ সেহরীর সময় পড়ার দোয়া (দোয়া সাহার) :

يَا مَفْزَعِيْ عِنْدَ كُرْبَتِيْ وَ يَا غَوْثِيْ عِنْدَ شِدَّتِيْ إِلَيْكَ فَزِعْتُ وَ بِكَ اسْتَغَثْتُ وَ بِكَ لُذْتُ لَا أَلُوْذُ بِسِوَاكَ وَ لَا أَطْلُبُ الْفَرَجَ إِلَّا مِنْكَ فَأَغِثْنِيْ وَ فَرِّجْ عَنِّيْ يَا مَنْ يَقْبَلُ الْيَسِيْرَ وَ يَعْفُوْ عَنِ الْكَثِيْرِ اقْبَلْ مِنِّي الْيَسِيْرَ وَاعْفُ عَنِّي الْكَثِيْرَ إِنَّكَ أَنْتَ الْغَفُوْرُ الرَّحِيْمُ اللَّهُمَّ إِنِّيْ أَسْأَلُكَ إِيْمَاناً تُبَاشِرُ بِهِ قَلْبِيْ وَ يَقِيْناً صَادِقاً حَتَّى أَعْلَمَ أَنَّهُ لَنْ يُصِيْبَنِيْ إِلَّا مَا كَتَبْتَ لِيْ وَ رَضِّنِيْ مِنَ الْعَيْشِ بِمَا قَسَمْتَ لِيْ يَا أَرْحَمَ الرَّاحِمِيْنَ يَا عُدَّتِيْ فِيْ كُرْبَتِيْ وَ يَا صَاحِبِيْ فِيْ شِدَّتِيْ وَ يَا وَلِيِّيْ فِيْ نِعْمَتِيْ وَ يَا غَايَتِيْ فِيْ رَغْبَتِيْ أَنْتَ السَّاتِرُ عَوْرَتِيْ وَ الْآمِنُ رَوْعَتِيْ وَ الْمُقِيْلُ عَثْرَتِيْ فَاغْفِرْلِيْ خَطِيْئَتِيْ يَا أَرْحَمَ الرَّاحِمِيْنَ

আমার বিপদাপদে হে আমার আশ্রয়স্থল! দুঃখ-কষ্টে হে আমার সাহায্যকারী! তোমার কাছে আমি আশ্রয় নিয়েছি, তোমার কাছেই আশ্রয় নিয়েছি, তুমি ব্যতীত অন্য কারো কাছে আমি আশ্রয় নেই না। একমাত্র তোমার নিকট মুক্তি প্রার্থনা করি। হে আল্লাহ্! আমাকে সাহায্য করো এবং আমার থেকে জটিলতা দূর করে দাও। হে আল্লাহ্‌! যিনি বান্দা থেকে অতি অল্প আনুগত্য কবুল করেন এবং বান্দার অনেক পাপ ক্ষমা করে দেন। হে আল্লাহ্! আমার এ অল্প ইবাদত ও আনুগত্য কবুল করো এবং আমার অগণিত পাপ ক্ষমা করে দাও। নিশ্চয় তুমি ক্ষমাশীল ও দয়ালু। হে আল্লাহ্‌! আমি তোমার কাছে এমন ঈমান চাচ্ছি যা সরাসরি আমার অন্তরে গেঁথে যায়, তোমার কাছে এমন সত্য জ্ঞান (ইয়াকীন) প্রার্থনা করছি যাতে আমি জানতে পারি যে, তুমিই আমার জন্য যা নির্ধারণ করেছ ও লিখেছ সেটাই আমি পাব। আর যে জীবন পদ্ধতি আমার জন্য বণ্টন করে দিয়েছ কেবল তাতেই আমাকে পরিতৃপ্ত ও সন্তুষ্ট রাখ। হে সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বাধিক দয়ালু! আমার বিপদাপদে হে আমার আশা-ভরসাস্থল! আমার দুঃখ-কষ্টে হে আমার সংগী! আমার নেয়ামতে হে আমার অভিভাবক! হে আমার আশা-আকাঙ্ক্ষার উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যস্থল! তুমিই আমার দোষত্রুটি গোপনকারী, তুমিই ভয়-ভীতি ও বিহ্বলতায় আমার প্রশান্তিদাতা, তুমিই আমার স্খলন ক্ষমাকারী ও উপেক্ষাকারী। হে সর্বোত্তম দয়ালু! আমার পাপ ক্ষমা করো।

১২. হযরত জাফর সাদেক (রহ.) এবং হযরত মূসা কাযেম (রহ.) থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, রমযান মাসে প্রত্যেক ফরজ নামাযের পর এ দোয়া পড়া উত্তম :

اَللَّهُمَّ ارْزُقْنِيْ حَجَّ بَيْتِكَ الْحَرَامِ فِيْ عَامِيْ هَذَا وَ فِيْ كُلِّ عَامٍ مَا أَبْقَيْتَنِيْ فِيْ يُسْرٍ مِنْكَ وَ عَافِيَةٍ وَ سَعَةِ رِزْقٍ وَ لَا تُخْلِنِيْ مِنْ تِلْكَ الْمَوَاقِفِ الْكَرِيْمَةِ وَ الْمَشَاهِدِ الشَّرِيْفَةِ وَ زِيَارَةِ قَبْرِ نَبِيِّكَ صَلَوَاتُكَ عَلَيْهِ وَ آلِهِ وَ فِيْ جَمِيْعِ حَوَائِجِ الدُّنْيَا وَ الْآخِرَةِ فَكُنْ لِيْ اللَّهُمَّ إِنِّيْ أَسْأَلُكَ فِيْمَا تَقْضِيْ وَ تُقَدِّرُ مِنَ الْأَمْرِ الْمَحْتُوْمِ فِيْ لَيْلَةِ الْقَدْرِ مِنَ الْقَضَاءِ الَّذِيْ لَا يُرَدُّ وَ لَا يُبَدَّلُ أَنْ تَكْتُبَنِيْ مِنْ حُجَّاجِ بَيْتِكَ الْحَرَامِ الْمَبْرُوْرِ حَجُّهُمُ الْمَشْكُوْرِ سَعْيُهُمُ الْمَغْفُوْرِ ذُنُوْبُهُمُ الْمُكَفَّرِ عَنْهُمْ سَيِّئَاتُهُمْ وَ اجْعَلْ فِيْمَا تَقْضِيْ وَ تُقَدِّرُ أَنْ تُطِيْلَ عُمْرِيْ وَ تُوَسِّعَ عَلَيَّ رِزْقِيْ وَ تُوَدِّيَ عَنِّيْ أَمَانَتِيْ وَ دَيْنِيْ آمِيْنَ رَبَّ الْعَالَمِيْنَ

হে আল্লাহ্‌! এ বছর ও যতদিন তুমি আমাকে এ পৃথিবীতে সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যে ও সুস্থ শরীরে জীবিত রাখ এবং আমার জীবিকা প্রশস্ত রাখ ততদিন প্রতি বছর আমাকে তোমার পবিত্র গৃহ কাবায় হজ্ব করার সৌভাগ্য ও তৌফিক দান করো। হে আল্লাহ্‌! তুমি আমাকে সকল সম্মানিত স্থান, পবিত্র যিয়ারতগাহ এবং তোমার নবীর কবর যিয়ারত করার সৌভাগ্য থেকে বঞ্চিত করো না। হে আল্লাহ্! তুমি আমার ইহকাল ও পরকালের যাবতীয় অভাবের ক্ষেত্রে আমাকে একাকী ছেড়ে দিও না। তুমি আমার হয়ে যাও। হে আল্লাহ্‌! লাইলাতুল কাদ্‌র বা মহিমা রজনীতে কাযা ও কাদ্‌র সংক্রান্ত যেসব অবশ্যম্ভাবী বিষয় তুমি নির্ধারণ করো যা ফেরানোও যাবে না এবং পরিবর্তিতও হবে না সেক্ষেত্রে আমি প্রার্থনা করছি আমাকে তোমার পবিত্র গৃহ কাবার ঐসব হজ্ব আদায়কারীর অন্তর্ভুক্ত করো যাদের হজ্ব পুণ্যময়, যাদের প্রচেষ্টা প্রশংসনীয়, যাদের পাপ ক্ষমা করা হয়েছে এবং অসৎ কাজসমূহের কাফ্‌ফারা আদায় করা হয়েছে। হে আল্লাহ্! এ মহিমান্বিত রাতে তুমি যা নির্ধারণ করো তার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করো আমার দীর্ঘায়ু এবং প্রশস্ত জীবিকা। আমার হয়ে তুমি আমার যাবতীয় আমানত ও ঋণ আদায় করে দাও, হে জগৎসমূহের প্রতিপালক!

১৩. ফরজ নামাযের পর পড়ার আরেকটি দোয়া :

يَا عَلِيُّ يَا عَظِيْمُ يَا غَفُوْرُ يَا رَحِيْمُ أَنْتَ الرَّبُّ الْعَظِيْمُ الَّذِيْ لَيْسَ كَمِثْلِهِ شَيْءٌ وَ هُوَ السَّمِيْعُ الْبَصِيْرُ وَ هَذَا شَهْرٌ عَظَّمْتَهُ وَ كَرَّمْتَهُ وَ شَرَّفْتَهُ وَ فَضَّلْتَهُ عَلَى الشُّهُوْرِ وَ هُوَ الشَّهْرُ الَّذِيْ فَرَضْتَ صِيَامَهُ عَلَيَّ وَ هُوَ شَهْرُ رَمَضَانَ الَّذِيْ أَنْزَلْتَ فِيْهِ الْقُرْآنَ هُدَىً لِلنَّاسِ وَ بِيِّنَاتٍ مِّنَ الْهُدَى وَ الْفُرْقَانِ وَ جَعَلْتَ فِيْهِ لَيْلَةَ الْقَدْرِ وَ جَعَلْتَهَا خَيْراً مِنْ أَلْفِ شَهْرٍ فَيَا ذَا الْمَنِّ وَ لَا يُمَنُّ عَلَيْكَ مُنَّ عَلَيَّ بِفَكَاكِ رَقَبَتِيْ مِنَ النَّارِ فِيْ مَنْ تَمُنُّ عَلَيْهِ وَ أَدْخِلْنِي الْجَنَّةَ بِرَحْمَتِكَ يَا أَرْحَمَ الرَّاحِمِيْنَ

হে সর্বোচ্চ! হে মহান! হে ক্ষমাশীল! হে দয়ালু! তুমিই মহিমান্বিত প্রভু, যার সমকক্ষ কোন কিছুই নেই। যিনি সর্বশ্রোতা ও সর্বদ্রষ্টা। আর এ হচ্ছে এমন একটি মাস যাকে তুমি মহিমান্বিত, সম্মানিত ও মর্যাদাবান এবং সকল মাসের চেয়ে শ্রেষ্ঠ করেছ। আর এটাই রমযান মাস যে মাসে তুমি মানব জাতির জন্য হেদায়েত এবং সত্য পথযাত্রীদের জন্য পথ প্রদর্শন ও সত্য-মিথ্যার পার্থক্য করার স্পষ্ট বর্ণনা সম্বলিত গ্রন্থ কোরআন অবতীর্ণ করেছ। এ মাসেই তুমি ‘মহিমান্বিত রাত’ সৃষ্টি করেছ এবং এ রাতকে হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ করেছ। হে অনুগ্রহকারী! যাকে কেউ অনুগ্রহ করতে পারে না, আমাকে দোযখের আগুন থেকে মুক্তি দেয়ার মাধ্যমে আমার প্রতি অনুগ্রহ করো। যাদের ওপর তুমি অনুগ্রহ করো আমাকে তাদের অন্তর্ভুক্ত করো। তোমার রহমতের দ্বারা আমাকে বেহেশতে প্রবেশ করাও, হে সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু!

Prayer Times For 6 Million Cities Worldwide
Country: