প্রতিটি নামাজের পর পড়ার দোয়া

প্রতিটি নামাজের পর পড়ার দোয়া

এই দোয়াটি প্রতিটি নামাজের পর পড়ার জন্য।

اَللّهُمّ إِنَّ مَغْفِرَتَكَ أَرْجَى مِنْ عَمَلِيْ، وَ إِنَّ رَحْمَتَكَ أَوْسَعُ مِنْ ذَنْبِيْ. اَللّهُمَّ إِنْ كَانَ ذَنْبِيْ عِنْدَكَ عَظِيْماً، فَعَفْوُكَ أَعْظَمُ مِنْ ذَنْبِيْ. اَللّهُمَّ إِنْ لَمْ أَكُنْ أَهْلاً أَنْ أَبْلُغَ رَحْمَتَكَ، فَرَحْمَتُكَ أَهْلٌ أَنْ تَبْلُغَنِيْ وَ تَسَعَنِيْ، لِأَنَّهَا وَسِعَتْ كُلَّ شَيْءٍ

بِرَحْمَتِكَ يَا أَرْحَمَ الرَّاحِمِيْنَ

হে আল্লাহ্‌! নিশ্চয়ই আমি আমার আমলের চেয়ে তোমার ক্ষমার ব্যাপারে অধিক আশাবাদী। অবশ্যই তোমার রহমত আমার অপরাধ থেকে অধিক বিস্তৃত। হে আল্লাহ্‌! যদি আমার অপরাধ তোমার নিকট বড় হয় কিন্তু তোমার ক্ষমা তো আমার অপরাধের চেয়েও বড়। হে আল্লাহ্‌! যদি তোমার রহমত পৌঁছার ক্ষেত্রে আমি যোগ্য না হই কিন্তু তোমার রহমত তো আমার নিকট পৌঁছানোর যোগ্য। কেননা, তা সব কিছুকে পরিব্যাপ্ত করে। তোমার রহমতের উসিলায় (ক্ষমা প্রার্থনা করছি), হে অনুগ্রহকারীদের মধ্যে সর্বাধিক অনুগ্রহকারী।

ফজরের নামাযের পর পড়ার দোয়া

أَلّلهُمَّ إِنِّيْ أَسْأَلُكَ بِحَقِّ مُحَمَّدٍ وَ آلِ مُحَمَّدٍ عَلَيْكَ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَ آلِ مُحَمَّدٍ وَ اجْعَل النُّوْرَ فِيْ بَصَرِيْ وَ الْبَصِيْرَةَ فِيْ دِيْنِيْ وَ الْيَقِيْنَ فِيْ قَلْبِيْ وَ الْإِخْلَاصَ فِيْ عَمَلِيْ وَ السَّلَامَةَ فِيْ نَفْسِيْ وَ السّاعَةَ فِيْ رِزْقِيْ وَ الشُّكْرَ لَكَ أَبَداً مَا أَبْقَيْتَنِيْ

হে আল্লাহ্‌! তোমার কাছে হযরত মুহাম্মদ (সা.) ও তাঁর আহলে বাইতের উসীলায় প্রার্থনা করছি। হে আল্লাহ্‌! তুমি মুহাম্মাদ (সা.) ও তাঁর আহলে বাইতের ওপর দরূদ ও সালাম প্রেরণ কর। আমার নয়নে দ্যূতি স্থাপন কর। আমার ধর্মের ক্ষেত্রে আমাকে বিচক্ষণতা দাও। আমার হৃদয়ে অকাট্য বিশ্বাস ও আমার কাজ-কর্মে একনিষ্ঠতা দাও। আমার প্রবৃত্তিকে সুস্থ করে দাও। আমার জীবিকাকে প্রশস্ত কর এবং যতদিন তুমি আমাকে জীবিত রাখ ততদিন যেন আমি তোমার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি সে তৌফিক দান কর।

 

যোহরের নামাযের পর পড়ার দোয়া

 

لَا إِلهَ إِلَّا اللهُ الْعَلِيُّ الْعَظِيْمُ، لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ رَبُّ الْعَرْشِ الْكَرِيْمِ، وَ الْحَمُدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِيْنَ اللّهُمَّ إِنِّيْ أَسْأَلُكَ مُوْجِبَاتِ رَحْمَتِكَ وَ عَزَائِمَ مَغْفِرَتِكَ وَ الْغَنِيْمَتَ مِنْ كُلِّ بِرٍّ وَ السَّلَامَتَ مِنْ كُلِّ إِثْمٍ اَلّلهُمَّ لَا تَدَعْلِيْ ذَنْبًا إِلَّا غَفَرْتَ وَ لَا هَمًّا إِلَّا فَرَّجْتَ وَ لَا سُقْمًا إِلَّا شَفَيْتَ وَ لَا عَيْبًا إِلَّا سَتَرْتَ وَ لَا رِزْقًا إِلَّا بَسَطْتَ وَ لَا خَوْفًا إِلَّا آمَنْتَ وَ لَا سُوْئًا إِلَّا صَرَفْتَ وَ لَا حَاجَةً هِيَ لَكَ رِضًا وَلِيًّا فِيْهَ صَلَاحٌ إِلَّا قَضَيْتَهَا يَا أَرْحَمَ الرَّاحِمِيْنَ آمِيْنَ رَبَّ الْعَالَمِيْنَ

ধৈর্যশীল মহান আল্লাহ্‌ ব্যতীত আর কোন উপাস্য নেই। সুমহান আরশের প্রতিপালক আল্লাহ্‌ ব্যতীত আর কোন উপাস্য নেই। সমস্ত প্রশংসা জগৎসমূহের প্রভু আল্লাহ্‌র। হে আল্লাহ্‌! আমি তোমার কাছ থেকে যেসব বিষয় তোমার রহমত ও বরকত আনয়ন করে সেসব প্রার্থনা করছি। তোমার ক্ষমা করার দৃঢ় ইচ্ছা প্রার্থনা করছি ও যাবতীয় কল্যাণ পাওয়া এবং সমুদয় পাপ থেকে বেঁচে থাকার জন্য প্রার্থনা করছি। হে আল্লাহ্‌! তুমি আমার কোন পাপ ক্ষমা না করেই ছেড়ে দিও না। আমার যাবতীয় দুঃখ-কষ্ট লাঘব না করেই ছেড়ে দিও না। আমার সব রোগ-ব্যাধি আরোগ্য করে দাও। আমার সব দোষ-ত্রুটি ঢেকে দাও। আমার জীবিকা প্রশস্ত করে দাও। সমস্ত ভয়-ভীতি ও আশংকা থেকে আমাদেরকে নিরাপদ কর। আমার থেকে সমস্ত অকল্যাণ দূর করে দাও। হে সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু! যে মনষ্কামনায় সন্তুষ্টি ও আমার জন্য কল্যাণ নিহিত রয়েছে তা তুমি পূর্ণ করে দাও।

 

আসরের নামাযের পর পড়ার দোয়া

 

أَسْتَغْفِرُ اللهَ الَّذِيْ لَا إِلهَ إِلَّا هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّمُ الرَّحْمَانُ الرَّحِيْمُ ذُو الْجَلَالِ وَ الْإِكْرَامِ وَ أَسْأَلُهُ أَنْ يَتُوْبَ عَلَيَّ تَوْتَةَ عَبْدٍ ذَلِيْلٍ خَاضِعٍ فَقِيْرٍ بَائِسٍ مِسْكِيْنٍ مُسْتَكِيْنٍ مُسْتَجِيْرٍ لَا يَمْلِكُ لِنَفْسِهِ نَفْعاً وَ لَا ضَرًّا وَ لَا مَوْتًا وَ لَا حَياَةً وَ لَا نُشُوْرًا

আমি মহান আল্লাহ্‌র কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি যিনি ব্যতীত আর কোন উপাস্য নেই। তিনি চিরঞ্জীব, চিরস্থায়ী, পরম দাতা, দয়ালু, সমুদয় মহিমা ও মর্যাদার অধিকারী। আমি তাঁর কাছে প্রার্থনা করছি তিনি যেন আমাকে ঐ দীন, হীন, বিনয়ী, দরিদ্র, নিঃস্ব, জর্জরিত, দুস্থ, কপর্দকহীন, কাঙ্গাল ও মুক্তি প্রার্থনাকারী বান্দাকে ক্ষমা করার মতো ক্ষমা করে দেন, অনুশোচনা (তওবা) কবুল করেন যে নিজের জন্য না কোন উপকার করতে সক্ষম, আর না কোন অপকার, যে জীবন, মৃত্যু ও পুনরুত্থানেরও কোন ক্ষমতা রাখে না।

এরপর নিম্নোক্ত দোয়া পড়তে হয় :

اَلّهُمَّ إِنِّيْ أَعُوْذُ بِكَ مِنْ نَفْسٍ لَا تَشْبَعْ وَ مِنْ قَلْبٍ لَا يَخْشَعْ وَ مِنْ عِلْمٍ لَا يَنْفَعْ وَ مِنْ صَلَاةٍ لَا تُرْفَعْ وَ مِنْ دُعَائٍ لَا يُسْمَعْ اَلّلهُمَّ إِنِّيْ أَسْأَلُكَ الْيُسْرَ بَعْدَ الْعُسْرِ وَ الفَرَجَ بَعْدَ الْكَرْبِ وَ الرَّخَاءَ بَعْدَ الشِّدَّةِ اَللّهُمَّ مَا بِنَا مِنْ نِعْمَةِ فَمِنْكَ لَا إِلهَ إِلَّا أَنْتَ أَسْتَغْفِرُكَ وَ أَتُوْبُ إِلَيْكَ

হে আল্লাহ্‌! আমি তোমার কাছে অতৃপ্ত নাফ্‌স (প্রবৃত্তি), উদ্ধত হৃদয়, উপকারে আসে না এমন জ্ঞান এবং যে নামায ও দোয়া কবুল হয় না তা থেকে আশ্রয় চাচ্ছি। হে আল্লাহ্‌! তোমার কাছে আমি দুঃখের পর সুখ প্রার্থনা করছি। কষ্টের পর আনন্দ কামনা করছি এবং তীব্র অভাব-অনটনের পর প্রাচুর্য কামনা করছি। হে আল্লাহ্‌! আমাদেরকে যে নেয়ামতই দেয়া হয়েছে তা তোমা থেকেই। তুমি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। আমি তোমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি এবং তওবা করছি।

 

মাগরিবের নামাযের পর পড়ার দোয়া

اَللّهُمَّ إِنِّيْ أَسْأَلُكَ مُوْجِبَاتِ رَحْمَتِكَ وَ عَزَائِمَ مَغْفِرَتِكَ وَ النَّاجَاتَ مِنَ النَّارِ وَ مِنْ كُلِّ بَلِيَّةِ وَ الْفَوْزَ بِالْجَنَّةِ وَ الرِّضْوَانَ فِيْ دَارِ السَّلَامِ وَ جِوَارِ نَبِيِّكَ مُحَمَّدٍ عَلَيْهِ وَ آلِهِ السَّلَامُ. اَللّهُمَّ مَا بِنَا مِنْ نِعْمَةٍ فَمِنْكَ لَا إِلهَ إِلَّا أَنْتَ أَسْتَغْفِرُكَ وَ أَتُوْبُ إِلَيْكَ

হে আল্লাহ্! আমি তোমার কাছ থেকে যেসব বিষয় তোমার রহমত ও বরকত আনয়ন করে সেসব প্রার্থনা করছি। তোমার ক্ষমা করার দৃঢ় ইচ্ছা কামনা করছি। জাহান্নামের আগুন ও সকল বিপদ থেকে মুক্তি, জান্নাত প্রাপ্তির মাধ্যমে বিজয়, শান্তির ঘরের সন্তুষ্টি এবং তোমার নবী মুহাম্মদ (সা.) ও তাঁর পবিত্র পরিবারের সাহচর্য প্রার্থনা করছি। হে আল্লাহ্! আমাদেরকে যে নেয়ামতই দেয়া হয়েছে তা তোমা থেকেই। তুমি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। আমি তোমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি ও তোমার দিকে প্রত্যাবর্তন করছি।

এশার নামাযের পর পড়ার দোয়া

اَللّهُمَّ إِنَّهُ لَيْسَ لِيْ عِلْمٌ بِمَوْضَعِ رِزْقِيْ وَ إِنَّمَا أَطْلُبُهُ بِخَطَرَاتٍ تَخْطُرُ عَلَى قَلْبِيْ فَأَجُوْكَ فِيْ طَلَبِهِ الْبُلْدَانَ فَأَنَا فِيْمَا أَنَا طَالِبٌ كَالْحَيْرَانِ لَا أَدْرِيْ أَفِيْ سَهْلٍ هُوَ أَمْ فِيْ جَبَلٍ أَمْ فِيْ أَرْضٍ أَمْ فِيْ سَمَاءٍ أَمْ فِيْ بَرٍّ أَمْ فِيْ بَحْرٍ وَ عَلَى يَدَيْ مَنْ وَ مِنْ قِبَلِ مَنْ وَ قَدْ عَلِمْتُ أَنَّ عِلْمُهُ عِنْدَكَ وَ أَسْبَابُهُ بِيَدِكَ وَ أَنْتَ الَّذِيْ تَقْسِمُهُ بِلُطْفِكَ وَ تُسَبِّبُهُ بِرَحْمَتِكَ، اَللّهُمَّ فَصَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَ آلِهِ وَ اجِعَلْ يَا رَبِّ رِزْقَكَ لِيْ وَاسِعاً وَ مَطْلَبَهُ سَهْلاً وَ مَأْخَذَهُ قَرِيْباً وَ لَا تُعَنِّنِيْ بِطَلَبِ مَا مَمْ تُعَدِّرْ لِيْ فِيْهِ رِزْقاً فَإِنَّكَ غَنِيٌّ عَنْ عَذَابِيْ وَ أَنَا فَقِيْرٌ إِلَى رَحْمَتِكَ فَصَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَ آلِهِ وَجُدْ عَلَى عَبْدِكَ بِفَضْلِكَ إِنَّكَ ذُوْ فَضْلٍ عَظِيْمٍ

হে আল্লাহ্‌! আমার জীবিকাস্থল সম্পর্কে আমার কোন জ্ঞান নেই। আমার মনে যেসব চিন্তা জাগে সেসবের বশবর্তী হয়ে আমি জীবিকার সন্ধান করি। আমি তা পাওয়ার জন্য বিভিন্ন শহর-নগরে ঘুরে বেড়াই। আমি জীবিকার সন্ধানে শ্রান্ত-দিশেহারা। জানি না তা সমতল ভূমিতে আছে না পাহাড়-পর্বতে, যমীনে না আসমানে, স্থলে না সমুদ্রে বক্ষে। আমি জানি না তা কার হাতে এবং কার পক্ষ থেকে দেয়া হয়। তবে আমি জেনেছি যে, তোমার কাছে রয়েছে জীবিকা সংক্রান্ত জ্ঞান। জীবিকার উপায়-উপকরণ তোমারই হাতে। তুমিই তোমার অনুগ্রহের মাধ্যমে জীবিকা বণ্টন কর এবং তোমারই দয়ার দ্বারা তা সৃষ্টি কর। হে আল্লাহ্‌! অতঃপর মহানবী (সা.) ও তাঁর আহলে বাইতের ওপর দরূদ ও সালাম প্রেরণ কর। হে আল্লাহ্‌! তুমি আমার জীবিকা প্রশস্ত করে দাও, এর অনুসন্ধানস্থল সহজ করে দাও এবং জীবিকা প্রাপ্তিও নিকটবর্তী করে দাও। হে আল্লাহ্‌! তুমি যেখানে আমার জীবিকা রাখনি সে স্থানে জীবিকা অন্বেষণ করার কষ্ট আমাকে দিও না। কারণ, তুমি আমাকে শাস্তি প্রদান করার মুখাপেক্ষী নও (তুমিই তো সম্পূর্ণ নিরাভব সত্তা), বরং আমি তোমার রহমতের কাঙ্গাল। তুমি মুহাম্মাদ (সা.) ও তাঁর আহলে বাইতের ওপর দরূদ ও সালাত প্রেরণ কর। আর তোমার এ বান্দার ওপর কৃপা বর্ষণ কর। নিঃসন্দেহে তুমিই সবচেয়ে মহান অনুগ্রহকারী ও দয়ালু।

Prayer Times For 6 Million Cities Worldwide
Country: