হজ্জের জন্য যা জানা জরুরি

 

যার ওপর হজ ফরজ হয়েছে সে যদি হজ না করে তবে তার জন্য ভীষণ আজাবের সংবাদ দেয়া হয়েছে। প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা·) বলেছেন, ‘যার নিকট মক্কা শরিফে যাতায়াতের সম্বল থাকা সত্ত্বেও সে হজ করবে না, সে ইহুদি বা নাছারা হয়ে মরুক তাতে আল্লাহর কোন উদ্বেগ নেই।’ (তিরমিযি শরিফ)

সারা জীবনে মাত্র একবার হজ করা ফরজ। কেউ যদি একবারের বেশি হজ করে তবে তার প্রথম হজে ফরজ আদায় হবে আর পরবর্তী হজগুলো নফল হিসেবে গণ্য হবে এবং অনেক বেশি সওয়াব পাবে।

নাবালেগ অবস্থায় যদি কেউ হজ পালন করে তবে তা নফল হবে। বালেগ হওয়ার পর ধনসম্পদ থাকলে বা সামর্থ্য থাকলে আবার হজ করতে হবে। কোন অন্ধ ব্যক্তি যত বড় ধনীই হোক না কেন তার ওপর হজ ফরজ নয়। কারও ওপর যখন হজ ফরজ হয় তখন সঙ্গে সঙ্গে সে বছরই হজ করা ওয়াজিব। বিনা ওজরে দেরি করা এবং এরূপ ভাব করা যে এখনও তো অনেক সময় আছে, পরে কোন এক বছর হজ করে নেব- এরূপ ভাবা জায়েজ নয়। অবশ্য এর ২/৪ বছর পরও যদি হজ করে তবে ফরজ আদায় হয়ে যাবে; কিন্তু দেরি করার জন্য গোনাহগার হবে।

হজে যাওয়ার সময় স্ত্রী-কন্যা অর্থাৎ যাদের ভরণপোষণ নিজের জিম্মায় থাকে, হজ থেকে ফিরে আসার সময় পর্যন্ত তাদের ভরণপোষণের খরচ দিয়ে যেতে হবে।

হজের সম্পূর্ণ খরচ হালাল মালের দ্বারা সংগ্রহ করতে হবে। কেননা হারাম মালের দ্বারা কোন ইবাদত কবুল হয় না।

মহিলাদের হজের সফরে তার স্বামী বা মাহরাম পুরুষ সঙ্গে থাকাও জরুরি। তা ব্যতীত মহিলাদের হজের সফরে যাওয়া জায়েজ নয়। অবশ্য কাবা শরিফ থেকে যদি এতটুকু দূরে বসবাস করে যে, সেখান থেকে মক্কা শরিফ তিন মঞ্জিলের বেশি দূরে নয় তবে স্বামী বা মাহরাম না হলেও হজ সফরে যাওয়া জায়েজ। মাহরাম যদি নাবালেগ অথবা এরূপ বদদিন হয় যে, কোন মতেই তার ওপর আস্থা স্থাপন করা যায় না তবে তার সঙ্গেও হজের সফরে বের হওয়া জায়েজ নয়।

হজ করতে গেলে, হজের আগে বা পরে মদিনা শরিফে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা·)-এর রওজা শরিফ এবং মসজিদে নববী জিয়ারত করে আসার জন্যও যথাসাধ্য চেষ্টা করবে। হাদিস শরিফে মহানবী (সা·) বলেন, ‘যে মুসলমান আমার মৃত্যুর পর আমার রওজা শরিফ জিয়ারত করবে, সে তদ্রূপ বরকতই লাভ করবে- যেরূপ আমার জীবিত অবস্থায় আমার সঙ্গে মোলাকাত করলে লাভ হতো।’

অন্য হাদিসে মহানবী (সা·) বলেন- ‘যে হজ করে গেল অথচ আমার রওজা শরিফ জিয়ারত করল না তবে সে আমার সঙ্গে বড় অন্যায় করে গেল।’ মসজিদে নববী সম্বন্ধে মহানবী (সা·) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আমার এ মসজিদে এক রাকাত নামাজ পড়বে সে পঞ্চাশ হাজার রাকাত নামাজ আদায়ের সমান সওয়াব পাবে।

ইয়া আল্লাহ! আমাদের সবাইকে মদিনা শরিফের জিয়ারত নসিব করুন এবং নেক কাজ করার তাওফিক দান করুন। আমিন!!
 

 

Prayer Times For 6 Million Cities Worldwide
Country: