ঈমান

কুরআন
هُدًى لِلْمُتَّقِيْنَ ـ اَلَّذِيْنَ يُوْمِنُوَ نَ بِالْغِيْبَ وَيُقِيْمُوْنَ الصَلوَةَ وَمَمَّا رَزَقْنَهُمْ يُنْفِقُوْنَ ـ وَالَّذِيْنَ يُوْمِنُوْنَ بِمَآ اُنْزِلَ اِلَيْكَ وَمَمآ اُنْزِلَ مِنْ قَبْلِكَ وَبِالاخِرَةِ هُمْ يُوْقِنُوْنَ ـ
উচ্চারণ: হুদাললিন মুত্তাকীন, আল্লাযীনা ইউমিনূনা বিলগাইবি ওয়া ইউকীমূনাছ ছালাতা ওয়া মিম্মা রাযাকনাহুম ইউনফিকূন। ওয়াল্লাযীনা ইউমিনূনা বিমা উনযিলা ইলাইকা ওয়া মা উনযিলা মিন কাবলিকা ওয়া বিলআখিরাতি হুম ইউকিনূন।

(‌১) (আল কুরআন) সেইসব মুত্তাকীর জন্য হেদায়েত (পথ নির্দেশ), যারা অদৃশ্যে ঈমান আনে, নামায কায়েম করে এবং আমি তাদেরকে যে রিযিক দিয়েছি তা থেকে খরচ করে। আর (হে নবী) আপনার প্রতি যা নাযিল হয়েছে ও আপনার পূর্বে (নবীদের প্রতি যা নাযিল হয়েছিলো তাতেও ঈমান আনে ও পরকালে যারা দৃঢ় বিশ্বাস রাখে। (সূরা আল-বাকারা : ২-৪)
يآاَيُّهَا الَّذِيْنَ اَمُنُوْ ادْخُلُوْا فِىْ السِلَّمِ كَآفَّةً وَلاَ تَتًّبِعُوْا خُطُوْتِ الشَّيْطنِ اِنَّهُ لَكُمْ عَدُوٌّ مُبِيْنَ ـ
উচ্চারণ: ইয়াআউহাল্লাযীনা আমানুদখুলূ ফিসসিলামি কাফফাতান ওয়া লা তাত্তাবিয়ূ খুতুওয়াতিশ শাইতানি ইন্নাহূ লাকুম আদুওউম মুবীন।

(২) হে ঈমানদারগণ! তোমরা পুরোপুরি ইসলামে প্রবেশ করো এবং শয়তানের অনুসরণ করো না। নিশ্চয় সে (শয়তান) তোমাদের প্রকাশ্য দুশমন। (সূরা আল-বাকারা: ২০৮)
مَنْ امَنَ بِاللَّهِ وَالْيُوْمِ الأَخِرِ وَعَمِلَ صَلَحًا فَلَهُمْ اجْرَهُمْ عِنْدَ رَبِّهِمْ وَلاَخَوْفٌ عَلَيْهِمْ وَلاَهُمْ يَحْزَنُوْنَ ـ
উচ্চারণ: মান আমানা বিল্লাহি ওযাল ওয়াওমিল ওয়া আমিলা ছালিহান ফালাহুম আজরুহুম ইনদা রাব্বিহিম ওয়া লা খাওফুন আলাইহিম ওয়া লাহুম ইয়াহযানূন।

(৩) যারা ঈমান আল্লাহ ও পরকালে এবং সৎকাজ করে, তাদের জন্য রয়েছে তাদের রবের পক্ষে থেকে মহাপুরষ্কার এবং তাদের কোনো ভয় নেই, তারা চিন্তাগ্রস্তও হবে না। (সূরা আল-বাকারা: ৬২)
فَمَنْ يُكْفُرْ بِالطَّاغُوْتِ وَيوُمِنْ بِاللَّهِ فَقَدِ اِسْتَمْيسَكَ بِالْعُرْوَةِ الْوُثُقى لااَنْفِصَامَ لَهَا ـ
উচ্চারণ: ফামাই ইয়াকফুর বিত্তাগূতি ওয়া ইউমিন বিল্লাহি ফাকাদিসতামসাকা বিলউরওয়াতিল উছকা লানফিছামা লাহা।

(৪) অত:পর যে তাগূতকে অস্বীকার করে এবং আল্লাহর প্রতি ঈমান আনে সে এমন এক মজবুত রজ্জু ধারণ কর যা কখনো ছিঁড়বার নয়। (সূরা বাকারা: ২৫৬)
فَامِنُوْ بِاللهِ وَرَسُلِه وَانْ تُوْمِنُوْا وَتَتَّقُوْا فَلَكُمْ اَجْرٌ عَظِيْمُ ـ
উচ্চারণ: ফাআমিন বিল্লাহি ওয়া রুসূলিহী ওয়া ইন তুমিনূ ওয়া তাত্তাকূ ফালাকুম আজরুন আযীম।

(৫) অতএব তোমরা ঈমান আনো আল্লাহর প্রতি ও রাসূলের প্রতি। যদি তোমরা ঈমান আনো এবং তাকওয়া অবলম্বন করো, তবে তোমাদের জন্য বিরাট পুরষ্কার রয়েছে। (সূরা আলে ইমরান: ১৭৯)
اِنَّمَا الْمُوْمِنُوْنَ الَّذِيْنَ امَنُوْا بِاللهِ وَرَسُوْلِه ـ
উচ্চারণ: ইন্নামাল মুমিনূনাল্লাযীনা আমানূ বিল্লাহি ওয়া রাসূলিহী।

(৬) মুমিন মূলত তারাই আল্লাহ ও রাসূলের প্রতি যাদের দৃঢ় ঈমান রয়েছে। (সূরা নূর: ৬২)

হাদীস
1. عَنْ عَمَرِوَيْنِ عَبَسَةُ (رض) قَالَ قُلْتُ يَارَسُوْلَ اللهِ (صلعم) مَا الْلايْمَانُ ؟ قَالَ الصَّبْرُ وَالسًمَاحَةُ ـ (مسلم)

(১) হযরত আমর বিন আবাসা (রা) হতে বর্ণিত, আমি রাসূল্লাহ (সা) কে জিজ্ঞেস করেছিলাম, ঈমান কি? জবাবে তিনি বলেলেন, ছবর (ধৈর্য ও সহনশীলতা) এবং ছামাহাত (দানশীলতা), নমনীয়তা ও উদারতা) হচ্ছে ঈমান। (মুসলিম)
2. عن عباس (رض) قال قال رسول الله (صلعم) ذاق طعم الايمان من رضى بالله رباوبالاسلام دينا وبمحمد رسولا ـ (بخارى ومسلم)

(২) হযরত আব্বাস (রা) হতে বর্ণিত, রাসূলে করীম (সা) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি পূর্ণ আন্তরিকতার সাথে আল্লাহ কে রব, ইসলামকে দ্বীন এবং মুহাম্মাদ (সা) কে রাসূল হিসেবে কবুল করেছে, সেই ব্যক্তি ঈমানের প্রকৃত স্বাদ লাভ করেছে। (বুখারী, মুসলিম)
عنْ انس (رض) عن النبى (صلعم) قال لايُومن احدكم حتى يحب لاخيه مايحب لنفسه ـ (بخارى و مسلم)

(৩) হযরত আনাস (রা) বর্ণনা করেছেন, নবী করীম (সা) ইরশাদ করেছেন, তোমাদের মধ্যে হতে কেহই ঈমানদার হতে পারবে না, যতক্ষণ না সে তার ভাইয়ের জন্য তাই পছন্দ করবে যা সে নিজের জন্য পছন্দ করে। (বুখারী, মুসলিম)

Prayer Times For 6 Million Cities Worldwide
Country: