পৃথিবীর শীতলতম গ্রামটি আরও শীতল হলো। আবহাওয়ার তাপমাত্রা মাইনাস একাত্তর ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে চলে গেছে। রাশিয়ার এই ছোট গ্রামটিতে শীতকালে শীতের তীব্রতায় বিমানও নামতে পারে না।
রাশিয়ার উত্তর-পূর্বে অবস্থিত এই ছোটগ্রামটির নাম ওইমফিয়াকোন। সবাই তাকে ডাকে ‘শীতলমেরু’। জানুয়ারিতে গ্রামটিতে গড় তাপমাত্রা মাইনাস পঞ্চাশ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে থাকে।
গ্রামটিতে কোন উদ্ভিদ গজায় না, বাসিন্দাদের খাদ্য তালিকায় তাই হরিণের কিংবা ঘোড়ার গোশত নেই। তাই বলে এসব মানুষ অপুষ্টিতে ভোগেও তাও না।
লোকজন গাড়ি চালু রেখে দেয়। তাদের ভয়, একবার বন্ধ হলে বুঝি আর চালু হবে না।
তবে কারও মৃত্যু হলে একটু বেশি সমস্যা দেখা যায়। কবর খুড়তে লেগে যায় তিনদিন। প্রথমে উত্তপ্ত কয়লা দিয়ে বরফ গলাতে হয়। তারপর মাটি খুড়তে হয়। ফ্যাসাদ ত বটেই।
মানুষের বসতি আছে এমন গ্রামগুলোর মধ্যে রাশিয়ার এই ছোট গ্রামটির মতো শীতল জায়গা আর নেই। বরফের দেশ উত্তর মেরুতেও শীতলতম স্থান এটি।
অথচ রাশিয়ার সরকার এই গ্রামটিকে যাযাবরদের আশ্রয়স্থল বানানোর চেষ্টা করছে। নিয়ন্ত্রণের অসাধ্য, প্রযুক্তিগত এবং সাংস্কৃতিকভাবে পিছিয়ে পড়া যাযাবরদের আবাসস্থল বানাতে চান ওইমফিয়াকোনকে।
তবে মজার কথা হলো, ওইমিয়াকোন অর্থ ‘অশীতল পানি’। সমুদ্রস্তর থেকে গ্রামটির দূরত্ব সাতশ পাঞ্চাশ মিটার দূরে। তবে গ্রামটিতে আধুনিক জীবনের সুযোগ সুবিধাও রয়েছে।