সংগঃ পঃ দায়িত্বশীলদের করণীয়

* ইমাম হচ্ছে ঢালস্বরূপ, যাকে সামনে রেখে পথ চলা যায়, আত্মরক্ষাও করা যায়;
* ইমামের তিনটি অর্থঃ- (১) যিনি সামনে পথ চলেন (২) নির্দেশ দানকারী (৩) সবার পূর্বে নির্দেশ বাসত্দবায়ন করেন।
* নেতৃত্ব ঃ
ইসলামী পরিভাষায় ঃ খলিফা, ইমাম, আমির।
ইমাম-অনুসরণ, অনুকরণ করা যায়-ইব্রাহীম (আঃ)
_ শুধু আদেশদাতা নন, সে আদেশ নিজেও পালন করবেন।
নেতৃত্ব দেয়াটা একটা Sensitive বিষয়।
*নেতৃত্বের গুণাবলী :
সেই নেতারাই উত্তম, যাদের তোমরা ভালবাস, তিনিও তোমাদের ভালবাসেন, তোমরা তার জন্য দোয়া কর, তিনিও তোমাদের জন্য দোয়া করেন। _হাদীস
(১) বলিষ্ঠ ঈমানের অধিকারী হবেন
- নবী (সঃ) এর নবুওয়ত লাভ পরবর্তী ঘটনা : পাহাড়ে উঠে (সাফা ও মারওয়া) নবুওয়াতের ঘোষণা
- আবু বকর (রাঃ) এর ঘটনা।
_ কেন্দ্রীয় সভাপতি ডাঃ তাহের ভাইকে রক্ষা করার জন্য চট্টগ্রামে আন্দরকিল্লা শাহী মসজিদের সামনে হাফেজ আঃ রহিম ও স্কুল কর্মী আমির হোসাইন গুলির সামনে বুক পেতে দিয়ে কেন্দ্রীয় সভাপতিকে রক্ষা করে শাহাদত বরণ করেছেন।
(২) কথানুরূপ কাজ ঃ
ইয়া আইয়ু্যহাল্লাযিনা আমানুলিমা তাকুলুনা মা লা তাফআলুন। কাবুরা মাকতান ইন্দাল্লাহি আনতা কুলু মা লা তাফয়ালুন।
সূরা আস-সাফ২-৩
উত্তম আমলের অধিকারী হওয়া]
- রাসূল (সঃ)-এর মিষ্টি খাওয়া
- কম কথা বলতে হবে-এক সাহাবীর ঘটনা
এক সাহাবী রাসূল (সঃ) এর মুখে কম কথা বলার গুণের কথা শুনে মুখে পাথর ঢুকিয়ে রেখে কম কথা বলার অভ্যাস গড়েছেন।
তওবার খুটি
* এমন আমল করবেন যাতে Senior ও আপনি করে সম্বোধন করতে বাধ্য হয়।
(৩) কল্যাণ কামনা করা :
_ কর্মীকে, নেতাকে নিয়ে অভিযোগ পেশ করা যাবেনা।
_ ভ্রাতৃত্বের বন্ধন দৃঢ় করতে হবে।
_ গীবতের চর্চা completely বন্ধ করতে হবে।
(৪) ইসলামী ব্যক্তিত্ব গঠন :
_ একজন আরেকজনকে পরিশুদ্ধ করা। (এহতেসাব)
(আল্লাহুম্মা আ’তি নাফসি তাকওয়াহা ওয়া যাক্কিহা)
(৫) কঠোরতা নয় কোমলতা :
(ফাবিমা রাহমাতিম—- মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহি —- (ফাতাহ-২৯)
(৬) ইনসাফ কায়েম করা :
_ মাওলানা মওদুদী (রঃ) বিকালের আসর
(৭) দ্বীনি চেতনা লালন করা :
(৮) উত্তম গুণাবলীর বিকাশ সাধন :
_ নিজের দোষগুলি লিপিবদ্ধ করে এক এক করে দূরীকরণ।
(৯) আমানতের সংরক্ষণ :
ওয়াল্লাযিনা হুম লি আমানাতিহিম ওয়া আইদিহিম রাউন।
_ মু’মিনুন-৮
কুরবানীর গরু কিনে মালিকের নিকট রাখা (ভরণ-পোষণ দিয়ে) তারপর সময় হলে নিয়ে আসা, যাতে ঐ গরুর মালিকের কোন অধিকার থাকে না।
_ না বুঝার কারণে প্রতিনিয়ত আমরা আমানতের খেয়ানত করি।
_ সংগঠনের টাকা খরচের ব্যাপারে সচেতনতার পরিচয় দেয়া-নিজের টাকা খরচ করতে যেমন চিন্তা সংগঠনের টাকা খরচ করতে তার চেয়ে বেশি চিন্তা করা।
_ আল্লাহ জান্নাত দিবেন আমানতের যথাযথ ব্যবহারের ভিত্তিতে।
(১০) সকলের প্রতি সমান আচরণ :
_ Chain of leadership তৈরি/একাধিক নেতা তৈরি।
_ আমরা এখনও Chain of leadership করতে পারিনি।
_ তিনিই যোগ্য দায়িত্বশীল যিনি তার চাইতেও যোগ্য নেতা তৈরি করে যাবেন।
(১২) বলিষ্ঠ, সাহসী ভূমিকা রাখা :
_ আলী (রাঃ) এর খামুস দুর্গের কপাট নিয়ে যুদ্ধ করা।
_ শহীদ রবিউল ইসলাম ভাই
(১৩) সাংগঠনিক ও Academic অধ্যয়ন ঠিক রাখা।
## তারা রাতের অন্ধকারে শাহাদাতের মৃত্যু কামনা করে। দিনে শত্রুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে।
** মুতার যুদ্ধ তাবুক যুদ্ধ
রোম সম্রাট যুদ্ধে পরাজিত হয়ে পর্যালোচনার জন্য-তিন সদস্যবিশিষ্ট কমিটি করে যার Report ছিল মুসলমানদের নৈতিকতাকে Target করতে হবে।
সংগঠন পরিচালনা
উমর ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) বলেন- সংগঠন ছাড়া ইসলাম নেই।
বর্তমান বিশ্বের বিরাজমান পরিস্থিতিতে অনুভূত হচ্ছে সংগঠনের গুরুত্ব, প্রয়োজনীয়তা, প্রভাব।
নবুওয়াতের ষষ্ঠ হিজরীতে ৯টি গোত্র একত্রিত হয়ে রাসূলের (সঃ) বিরুদ্ধে চুক্তি করে রাসূলকে বয়কট করে। ৫ জন যুবকের সম্মিলিত কৌশলী ভূমিকায় বয়কটের অবসান ঘটে। এ থেকে বুঝা যায় সংগঠনের গুরুত্ব।
সংঘবদ্ধ জন গোষ্ঠী এক বিরাট শক্তি। দুনিয়ায় পরাশক্তিগুলো আজ সংঘবদ্ধ মুসলমানদের ভয় পাচ্ছে। ১৩০ কোটি মুসলমান নয়-তাদের ভয় কয়েক লাখ জামাতবদ্ধ মুসলমান নিয়ে।
সংগঠন পরিচালনার গুরুত্বপূর্ণ দিক :
* লক্ষ্য উদ্দেশ্যের দিকে কেন্দ্রীভূত থাকতে হবে Centralized to its aim and target
o * Spiritual side বা রুহানী শক্তির প্রতি বেশী নজর
* লক্ষ্য অর্জনের জন্য পরিকল্পিতভাবে কাজ চালিয়ে যাওয়া।
* তাৎক্ষণিক ইস্যুর চাইতে মূল ইস্যুকে প্রাধান্য দেয়া।
* তাওহীদ * আখেরাত * রেসালাত
* পরিবর্তন করার মত যোগ্যতা সম্পন্ন লোক তৈরী
* যারা স্রোতের প্রতিকুলে চলতে পারে, বাতাসের গতি পরিবর্তন করতে পারে
* বিল্ডিং তৈরীর পূর্বে ইট তৈরী করতে হবে।
* কর্মী বাহিনী :
* বিপ্লবের জন্য যোগ্যতা সম্পন্ন কর্মী তৈরী অপরিহার্য
* বিপ্লবী কর্মী বাহিনী গড়ে তোলার কতিপয় দিক
* আদর্শিক জ্ঞানের পূর্ণতা
* আদর্শের আলোকে মনমানসিকতা গঠন
* মৌলিক মানবীয় যোগ্যতা সম্পন্ন লোক
* Internal + external এর মধ্যে সমন্বয়
* Physical, mental preparation.
o সংগঠনের কার্যক্রম পরিচাচলনায় প্রয়োজন :
* পরিকল্পনা গ্রহণ (Planning) Long tem, short term.
o * কোন অবস্থাতেই অতিরিক্ত Plan না নেয়া
* আবার সামর্থ থাকা সত্বেও কম Plan নেয়া ঠিক নয়
* পরিকল্পনায় সুনির্দ্দিষ্ট লক্ষ্য বা টার্গেট নির্ধারন
* পরিকল্পনা বাস্তবায়ন
৪. সর্বস্তরের দায়িত্বশীল সহ জনশক্তির Involvement জরুরী
* অলসতা পরিহার/স্বতঃস্ফুর্ত সাড়া/ সবাইকে গুরুত্ব উপলব্ধি করতে হবে/ অনাকাংখিত ঘটনা Avoid করার চেষ্টা করতে হবে/ Plan বাস্তবায়ন করে Rest
* তত্ত্বাবধান
* পরিকল্পনা গ্রহণের পর তদারকী বাড়ানো
* যে ত্রুটি পরিলক্ষিত হবে তা দূর করতে হবে
* মানুষের Mental investigation না করে কাজের আলোকে দূর্বলতা চিহ্নিত করে তা দূর করতে হবে।
v Reporting
এটা পরিকল্পনা বাস্তবায়নের গুরুত্বপূর্ণ অংশ
Report বস্তুনিষ্ঠ ও সঠিক হওয়া দরকার
আন্দাজ, অনুমান করে কোন Report দেয়া বা নেয়া ঠিক নয়
ময়দানের Original চিত্র আসা দরকার
Report পুরনের জন্য কর্মী, সাথী, সদস্য বানিয়ে বিপ্লব হবেনা
সমর্থক সংখ্যা সঠিক নিরুপিত হওয়া দরকার
৫. Review
পরিকল্পনা/ Report / পরিস্থিতির আলোকে প্রয়োজনে Plan review করতে হবে।
* একটি সফল ইসলামী বিপ্লবের জন্য :
সর্বক্ষেত্রে নেতৃত্ব সরবরাহ
v Power structure.
Political Leader
৫. Social Leader
Leader in administration
o মজবুত Network
o Informaion.
o Writer.
o Journalist
o Law year
o Social contorl-
§ Economical Factor
§ NGO Factor
* যোগ্যতার কোন বিকল্প নেই
সংগঠন পরিচালনা
সংগঠন : একত্রিত হওয়া, জমায়েত হওয়া, সংগঠিত হওয়া ইত্যাদি। কোন একটি লক্ষ্যকে সামনে রেখে একজন নেতার নেতৃত্বে কিছু লোকের একত্রিত হওয়াকে সংগঠন বলে।
ইংরেজীতে- Organization, Organ-Body (অঙ্গ ও শরীর)।
সংগঠনের উপাদান :
১. জনশক্তি
২. নেতৃত্ব
৩. নিয়ম নীতি
সংগঠনের গুরুত্ব :
১. লক্ষ্য উদ্দেশ্যের দিকে জনশক্তিকে কেনদ্রীভূত করা।
২. রুহানী দিকের প্রতি গুরুত্ব দেয়া
৩. মূল ইস্যুকে প্রাধান্য দেযা (তাওহীদ, রেসালাত, আখেরাত)
৪. পরিবর্তন করার মত লোক তৈরী (মৌলিক মানবীয় গুণ সম্পন্ন)
৫. জনশক্তির আদর্শিক দিকে মোটিভেশন
ঙ্ আদর্শিক জ্ঞান
ঙ্ আদর্শের উপস্থাপন
সংগঠন পরিচালনায় প্রয়োজন :
১. পরিকল্পনা গ্রহণ :
ভারসাম্য পূর্ণ (জনশক্তি, অর্থনৈতিক অবস্থা, বিরোধী শক্তি ও পরিপাশ্বিক অবস্থার আলোকে)
দীর্ঘ মেয়াদী/ স্বল্প মেয়াদী
২. বাসত্দবায়ন/বণ্টন : (জনশক্তির মানের আলোকে)
৩. তত্বাবধান :
ঙ্ ত্রুটি পরিলক্ষিত হলে দূর করা
ঙ্ কাজের আলোকে দুর্বলতা চিহ্নিত করে দূর করা
৪. রিপোর্টিং :
ঙ্ ময়দানের সঠিক চিত্র তুলে ধরা
ঙ্ বস্তুনিষ্ঠ ও সঠিক রিপোর্ট দেয়া
৫. পর্যালোচনা : (সঠিক কারণ চিহ্নিত করা)
পরিচালকের অপরিহার্য গুণাবলী :
১. জ্ঞানের ক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠত্ব
ঙ্ কুরআন ও হাদিসের অনত্দর্নিহিত জ্ঞান অর্জন করা (ওমর রাঃ খলীফা হওয়ার পর দোয়া)
ঙ্ ইসলাম ও আধুনিক জ্ঞান
ঙ্ সমসাময়িক পরিস্থিতি
ঙ্ ঐতিহাসিক ঘটনাবলী
ঙ্ জনশক্তি ও ময়দান
২. ম্যানেজমেন্ট
* সময়মত কাজ
* প্রাধান্যতার আলোকে কাজ নির্ধারণ
* ভারসাম্যপূর্ণ
৩. প্রজ্ঞা :
* মনসত্দত্ত অনুধাবন
* নিজ কাজের পদ্ধতি ভালভাবে জানা
* পরিস্থিতি মোকাবেলা (রাজনৈতিক, ক্যাম্পাস, আভ্যনত্দরীণ)
* দ্বীনের খুটিনাটি বিষয় জানা।
৪. জবাবদিহিতা :
* আল্লাহর নিকট
* সংগঠনের নিকট (জনশক্তি ও দায়িত্বশীলের নিকট)
* নিজের বিবেক
৫. আল্লাহর সাথে সম্পর্ক :
* মৌলিক ইবাদতসমূহ অত্যন্ত খোদাভীতির সাথে পালন
* নফল ইবাদতের প্রতি গুরুত্ব দান (নামাজ, রোযা, অর্থ দান)
* আল্লাহর নিকট দোয়া করা
পরিচালকের অন্যান্য গুণাবলী :
* পরিশ্রমপ্রিয়তা
* কষ্টসহিষ্ণুতা
* সাহসিকতা
* বিচক্ষণতা/দূরদর্শিতা
* উদার চিনত্দা
* স্থির চিত্ততা
*ত্যাগী মনোভাব
*নিয়মানুবর্তিতা
*বাগ্মীতা
*উত্তম ব্যবহার
* প্রেরণাদায়ক
* সংযত কথা
* ক্ষমা
* নিষ্ঠাবান
* আমানতদার (জনশক্তি, টেলিফোন, মোবাইল, যানবাহন অন্যান্য সম্পদ)
* সমালোচনা হজম করা
* জনশক্তি মূল্যায়ন (বয়স, অভিজ্ঞতা, শিক্ষা)
*ন্যায়পরায়নতা
পরবর্তী দায়িত্বশীল তৈরী :
* লোক বাছাই (ধারাবাহিকতার আলোকে)
* নিবীড় তত্ত্বাবধান
* ত্রুটি দূরীকরণ
* কাজ শেখানো
* গ্রহণযোগ্যতা তৈরী
* সাথে রেখে কাজ করানো
১. পরিবেশ
পরিবেশ ব্যতীত কোন প্রাণী বাঁচতে পারে না।
পরিবেশ অনুযায়ী লোক তৈরী হয়।
লোক অনুযায়ী পরিবেশ তৈরী হয় না।
তাই মানুষ তৈরীর জন্য পরিবেশ মৌলিক শর্ত।
পরিবেশ যত ভাল ও উন্নত হয় ততই ভাল মানুষ তৈরী হয়।
২. পরিবেশ বলতে কি বুঝি :
* Oxford Dictionary তে বলা হয়েছে- Sorrounding and conditions in which people. অর্থ- চতুপাশের এবং তার অবস্থা যেখানে মানুষ বসবাস করে।
* আমরা সাধারণতঃ আমাদের চারপাশে যা কিছু আছে তাকে নিয়ে পরিবেশ বলি।
* সাংগঠনিক পরিধি এবং তার অবস্থা যেখানে কর্মী, সাথী, সদস্য বা নেতা কর্মী বসবাস করে।
* সাংগঠনিকভাবে আমাদের চারপাশে আছে_
_ সমর্থক, কর্মী, সাথী, সদস্য ও শুভাকাংখী।
১. দায়িত্বশীল > কর্মী।
২. কর্মী > দায়িত্বশীল।
৩. দায়িত্বশীল ও কর্মী > সাধারণ এর সাথে। (সমর্থক, শুভাকাংখী।)
৩. সাংগঠনিক পরিবেশ বলতে আমরা কোন পরিবেশকে বুঝাবো :
ঐতিহ্য সংরক্ষণ করা।
সংগঠনের কর্মসূচী ও কর্মপদ্ধতি অনুকরণ করা।
ভারসাম্যপূর্ণ কর্মসূচী পালন।
পারস্পরিক ভ্রাতৃত্বপূর্ণ পরিবেশ।
আদেশ আনুগত্যের ভারসাম্য রক্ষা করা।
৪. দ্বীন শব্দের অর্থ : ৪টি অর্থ পাওয়া যায় :
প্রথমত : প্রতিদান, প্রতিফল বা বদলা,
* ফাতিহা-মালিকি ইয়াউ মিদ দিন
* ইনফিতার-কাল্লা বাল তুকাজ্জিবুনা বিদ দ্বীন
দ্বিতীয়ত : আনুগত্য বা হুকুম মেনে চলা :
* ইমরান-৮৩-আফাগাইরা দ্বীনিল্লাহি ইয়াবগুনা ওয়ালাহু আসলামা
* হুজরাত-৩- আলা লিল্লাহিদ দ্বীনিল খালেস
তৃতীয়ত : জীবন ব্যবস্থা, আনুগত্যের বিধান বা পদ্ধতি :
* ইমরান-১৯-ইন্নাত দ্বীন ইনদাল লাহিল ইসলাম।
* ইমরান-৮৫-ওয়ামাই ইয়াবতাগি গাইরাল ইসলামী দ্বীনান ফালান ইউকবালা মিনহু,
* মায়েদা-৩-আল ইয়াওমা আকমালতু লাকুম দ্বীনুকুম,
* সফ-৮-লিইউজহিরাহু আলাদ দ্বীনি কুলি্লহী
চতুর্থত : নিয়ম-নীতি, আইন কানুন, রাষ্ট্র বা সমাজ ব্যবস্থা :
* মুমীন-২৬-ওয়াকালা ফিরআউযু জরুনী আন আকতুলু মুসা,
* সূরা-আন আকিমুদ দ্বীন, ওয়ালা তাতাফার রাকু মিহি।
৫. দ্বীনি পরিবেশ নির্ভর করে :
নেতা / দায়িত্বশীলের আচরণের উপর।
কর্মীদের আচরণের উপর।
নেতা ও কর্মীদের পারস্পরিক সম্পর্কের উপর।
৬. দ্বীনি পরিবেশ সংরক্ষণে প্রতিবন্ধকতা :
আকাশ সংস্কৃতির প্রভাব।
মান আসার আগে মানোন্নয়নের চেষ্টা করা।
৭. নেতা / দায়িত্বশীলের আচরণ বা ভূমিকা হবে :
বিন্রম ভাষায় নির্দেশ দিবেন।
নেতৃত্ব কর্মীদের সাথে অনানুষ্ঠানিক আলাপও করবেন।
কোমলতা, উদারতা ও ক্ষমাশীলতার নীতি অবলম্বন।
সবাইকে সমান গুরুত্ব দেয়া ও সমান ভালবাসা দেয়া।
প্রাপ্য অনুযায়ী মর্যাদা দেয়া
সকল জনশক্তিকে প্রভাব বলয়ের মধ্যে রাখা।
জনশক্তির মানোন্নয়নের ধারাবাহিকতা ঠিক রাখা।
যে কোন সমস্যার তাৎক্ষণিক সমাধান। এক্ষেত্রে যোগ্য ডাক্তারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়া।
জনশক্তির সাথে ব্যক্তিগত যোগাযোগ রক্ষা করা। এটা যেন গীবতের পরিবেশ না হয়।
এহতেসাব বা গঠন মূলক সমালোচনা করা।
সকল ক্ষেত্রে সাংগঠনিক দৃষ্টিভংগীর অনুসরণ করা।
সকল ক্ষেত্রে সংগঠনের স্বার্থকেই প্রধান্য দেয়া।
পরিবেশ নষ্টকারী গুনাবলী থেকে সংগঠনকে হেফাজত করা।
সাংগঠনিক শৃংখলা বিধানকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়া।
দূর দৃষ্টি, যে কোন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে পরবর্তী পরিস্থিতি অনুধাবন করতে পারা।
বৈঠকের সিদ্ধান্ত যথাযথ বাস্তবায়ন করা।
সিদ্ধান্ত কোনভাবেই যেন বাহিরে না যায়।
পরামর্শ ভিত্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা।
দায়িত্বশীল বাছাই করতে ভুল না করা।
দায়িত্বশীলগণ সুন্দর পরিবেশ সংরক্ষনে তীক্ষনজর রাখবেন।
আঞ্চলিক চেতনা কঠোর হস্তে দমন করা।
কোন অভিযোগ শুনা মাত্র কমান্ড না করা।
জনশক্তির বক্তব্য ধীরস্থিরভাবে শুনা।
সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে নিজের অগ্রণী ভূমিকা পালন করা।
৮. পরিবেশ বিনষ্টকারী বিষয় সমূহ :
১. আদেশের সুরে কথা বলা।
২. গীবত
৩. হিংসা-বিদ্বেষ
৪. কুধারণা
৫. চোগলখুরী
৬. কানাকানি ও ফিসফিসানী,
৭. মেজাজের ভারসাম্যহীনতা
৮. একগুয়েমী
৯. সামষ্টিক ভারসাম্যহীনতা
১০. সংকীর্ণমনতা।
৯. পরিবেশ সংরক্ষনে সহায়ক বিষয় সমূহ :
১. দায়িত্বশীল কর্তৃক সকল জনশক্তিকে কাজে লাগানো।
২. গীবত মুক্ত পরিবেশ সংরক্ষণ করা।
৩. কর্মসূচী পালনে কর্মপদ্ধতির অনুসরণ করা।
৪. এহতেছাবের প্রচলন থাকা।
৫. ইসলামী জ্ঞান অর্জনের প্রচুর বই পুস্তক থাকতে হবে।
৬. কিছু ইসলামী স্কলার তৈরী করা।
৭. আমাদের সংবিধান অনুসরণ করা।
৮. প্রাক্তন ভাইদের সাথে পরামর্শ করা।
৯. দায়িত্ব পালনে সচেতন থাকা।
১০. শহীদদের জীবনী জানা ও শাহাদাতের চেতনা।
১১. দায়িত্বশীলদের উত্তম আমল ও উন্নত আচরণ।
১০. পরিবেশ সংরক্ষণে আমাদের দূর্বলতা :
১. ধৈর্য্যের অভাব।
২. দ্রুত পদক্ষেপ না নেয়া।
৩. ইলম অনুযায়ী আমল না করা।
৪. যোগযোগের অভাব।
৫. ভুল বুঝা বুঝি।
৬. সময়ের অপচয়।
৭. তত্ত্বাবধানের নামে সীমা অতিক্রম করা।
৮. দায়িত্বশীলদের অদূরদর্শী মন্তব্য।
৯. সংকীর্ণতার উর্ধে উঠতে না পারা।
১০. কর্ম বণ্টনে সুবিচার না করা।
১১. দায়িত্বশীলদের লেন-দেন অপরিচ্ছন্নতা।
১২. যথা সময়ে প্রোগ্রাম শুরু করতে না পারা।
১৩. সকল জনশক্তির সাথে ইনসাফপূর্ণ আচরণ করতে না পারা।
১৪. ইসলামের নীতি অনুসরণ না করা।
১১. পরিবেশ সংরক্ষণ না হলে ক্ষতি :
সংগঠনের কাঠামো ভেঙ্গে পড়ে।
সংগঠনের গ্রহণ যোগ্যতা হ্রাস পায়।
জাতি সৎ ও যোগ্য নেতৃত্ব থেকে বঞ্চিত হয়।
সকলের মাঝে ইসলামী দাওয়াতের প্রসার কমে যায়।
প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হয়।
সাংগঠনিক সম্পসারণ বন্ধ হয়ে যায়।
বিরোধীদের অপপ্রচার বৃদ্ধি পায়।
Prayer Times For 6 Million Cities Worldwide
Country: